লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের একে অপরকে করা ব্যক্তিগত আক্রমণের পারদ ক্রমে চড়েই যাচ্ছে; সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিম মায়াবতী; আলওয়ার গ্যাংরেপের মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তিনি।
মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিম্নরুচির বক্তব্য রাখেন মায়াবতী; একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে মায়াবতী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন; মোদীজী সব জনসভায় জনগনকে ভাই ও বোন বলে সম্বোধন করেন; কিন্তু তিনি নিজের বউকেই দেখেন না।
আরও পড়ুনঃ গডসে স্বাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু সন্ত্রাসবাদী, বললেন কমল হাসান
এরপরেই নিম্নরুচির প্রকাশ ঘটান মায়াবতী। তিনি বলেন; তিনি অনেকের কাছেই শুনেছেন যে; বিজেপি নেতার স্ত্রীরা ভয় পাচ্ছেন কারণ যে কোনও মুহূর্তে মোদীর প্রভাবে দলের অন্যান্য নেতারাও তাঁদের স্ত্রীকে ছেড়ে যেতে পারেন; দেশের মহিলাদের তাই মোদীকে ভোট না দিতে অনুরোধ করেন মায়াবতী।
দলিতদের জন্য নরেন্দ্র মোদী কিছুই করেননি; যেটুকু ভালবাসা দেখিয়েছেন দলিতদের প্রতি তাঁর সবটাই লোকদেখানো বলে মন্তব্য করেন মায়াবতী; তিনি আরও বলেন মোদী যতই চেষ্টা করুক দলিতদের মন পেতে দলিতরা রোহিথ ভেমুলা ও উনা ঘটনাগুলো ভুলে যায়নি।
আরও পড়ুনঃ দাবিদাওয়া না মেটায় সোনাগাছির ভোট এবার যাবে নোটা বোতামে
এদিন নরেন্দ্র মোদীর জাত নিয়েও কটাক্ষ করেন মায়াবতী; অবশ্য এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর জাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মায়াবতী; দলিতদের ধোঁকা দিতেই অনৈতিক উপায়ে প্রধানমন্ত্রী নিম্নবর্গের মানুষ সেজেছেন প্রধানমন্ত্রী; এমনই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মায়াবতী।
মায়াবতী বলেছিলেন; নরেন্দ্র মোদী আসলে উচ্চবর্গের মধ্যে পড়েন; অখিলেশ এবং মূলায়ম সিংয়ের মতই মোদীও উচ্চবর্গের ঘরে জন্ম নিয়েছেন; কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে দলিতদের ব্যবহার করতেই তিনি নিজেকে নিম্নবর্গের বলে পরিচয় দেন বলে জানিয়েছিলেন মায়াবতী।
আরও পড়ুনঃ এক কোটি টাকা সহ আসানসোলে গ্রেফতার দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক
যদিও মায়াবতীর এই দাবি মিথ্যা প্রমানিত হয়। নরেন্দ্র মোদী মোধ ঘাঞ্চি জাতের মধ্যে পড়েন; যাদের মন্ডল কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৪ সালে ওবিসির আওতাভুক্ত করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন ব্যর্থতা তুলে ধরে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন মায়াবতী।