বাংলায় বিজেপির ফল কেমন হবে; তা জানিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের তোপের মুখে পড়লেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান; বাংলার বিজেপির আসন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তারপরেই শুরু হয় যাবতীয় বিতর্ক।
সংবাদমাধ্যমকে প্রকাশ কারাট জানান; বিজেপি বিরোধিতায় যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিলো; কংগ্রেসের পক্ষে সেই ধরনের কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে কংগ্রেসের যে ভূমিকা হওয়া উচিৎ ছিল; তা প্রমানে কংগ্রস ব্যর্থ হয়েছে বলেই তিনি মনে করেন। আর এর ফলেই গেরুয়া শিবির ফায়দা তুলবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুনঃ বিষ্ণুর পর এবার কোন পুরুষকে মাতা বানালেন মমতা, ট্রোলড সোশ্যাল মিডিয়ায়
বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়ে তুলতে; প্রথম থেকেই বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল তৎপর হয়েছিল। রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী জোট গড়তে; ঐক্যমতে পৌঁছায় কংগ্রেস হাইকমান্ড ও সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু আসন সমঝোতায় ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পেরে; বাংলায় জোটের আশা শেষ হয়ে যায়। এতেও পারষ্পরিক দোষারোপের পালা চলতে থাকে।
বিগত রাজ্যের কয়েকটি উপ নির্বাচনে দেখা গিয়েছে; বামেদের ভোটের সিংহভাগই চলে যাচ্ছে বিজেপিতে। তৃণমূলের হাত থেকে রক্ষা পেতে; আদর্শের তোয়াক্কা না করেই বামেরা ভিড়তে শুরু করেছে রামের দলে; তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। রাজ্যে এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে; প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াও রয়েছে যথেষ্ট পরিমানে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিরোধিতায় লাভের গুড়; বিজেপির ঝুলিতেই যাবে বলে প্রকাশের আশঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে জয় শ্রী রাম বলা সমর্থকদের সংবর্ধনা বিজেপির
সম্প্রতি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার; রাজ্যে সিপিএমের হয়ে প্রচারে এসে বলেছিলেন; ভুলেও যেন সিপিএম সমর্থকরা বিজেপিতে নাম না লেখান। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার আসার পরেই; অশান্তির আবহাওয়া তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে আটকাতে; বিজেপির সাথে বামেদের নিচু তলার কর্মীদের যোগসাজশের খবর এসেছে।
এই বাম কর্মীদের অনেকেই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত। সেই ঘটনা আন্দাজ করতে পেরেই; বিজেপির আসন বাড়ার সম্ভাবনার কথা বলেন প্রকাশ; যে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দলের কর্মীরা; এমনকি প্রকাশ কারাতের এই মন্তব্যে বেশ বিরক্ত ওপরতলার বাম নেতারাও। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে প্রকাশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নি কেউই।