ভোটের শেষ মুহূর্তে রাম নিয়ে জমজমাট বাংলার রাজনীতি; এতদিন উত্তর ভারতসহ গোবলয়ে রাম রাজনীতি সীমাবদ্ধ থাকলেও বিগত ৫ বছরে তা গোবলয়ের সীমা অতিক্রম করে বাংলায় ঢুকে পড়েছে; আর ভোটের মধ্যে রাম রাজনীতি যেন আরও বেশিমাত্রায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে; মোদী মমতা তরজাতেও চলছে রামকে নিয়ে টানাটানি।
সোমবার ঝাড়্গ্রাম ও হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জোড়া জনসভা অনুষ্ঠিত হয়; ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন; এই রাজ্যে কেউ জয় শ্রী রাম বললেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন; রাম তাঁর শিরায় শিরায় রয়েছেন; রামই তাঁর অনুপ্রেরণা।
আরও পড়ুনঃ ফনী দুর্গতদের সাহায্যে ১ কোটি টাকা দান করলেন অক্ষয় কুমার
মোদীর রামভক্তির কড়া সমালোচনা করে সোমবার জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী; বিষ্ণুপুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন; বিজেপি মন্দির নিয়ে এতো হইচই করেও রামমন্দির তৈরি করতে পারেনি; ৫ বছরে মোদী একটি মন্দির বানাতে পারলেন না বলে তোপ দাগেন তিনি।
এদিকে রাজ্যের তারাপীঠ; দক্ষিনেশ্বর; কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়নের জন্য অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন বলে জানান; প্রসঙ্গত শনিবার চন্দ্রকোনা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি রোড শোতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রকোনার রাধাবল্লভপুরে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ মহরম ঈদে বিদ্যুৎ দিলেও, হোলি দিওয়ালিতে দিত না আগের সরকার, মন্তব্য আদিত্যনাথের
মুখ্যমন্ত্রীর এরপরেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন; তৎক্ষনাৎ শ্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা পালাতে শুরু করে; মুখ্যমন্ত্রী জোর গলায় তাদের বলেন, ” কি রে, পালাচ্ছিস কোথায়? সব হরিদাসের দল”। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন; তাকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে বিজেপি কর্মীরা। এরপরই পুলিশকে তৎপর হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রেফতার করা হয় ৩ বিজেপি কর্মীকে।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে; শুধুমাত্র জয় শ্রী রাম বলার কারনে গ্রেফতার করে মুখ্যমন্ত্রী স্বৈরাচারী ও অগনতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ করেছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমন অভিযোগও তোলা হয়।