ইসলামী জঙ্গিবাদ রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কায় রবিবারের সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩২১ জনের। ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন ইতিমধ্যেই হামলার সাথে জড়িতদের ছবি প্রকাশ করে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসলামী জঙ্গিবাদ থেকে সতর্ক হতে এবার বোরখা নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে শ্রীলঙ্কা।
প্রাথমিক উদ্যোগের মধ্যে বোরখা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে, কারন অনেক সময়েই ঢাকা বোরখার আড়ালে জঙ্গিরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার রবিবারের জঙ্গি হামলায় কয়েকজন মহিলাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। বোরখার আড়ালে যাতে জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে না পারে, তাই এই পোষাক নিষিদ্ধ করার পথে যেতে চাইছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপলা সিরিসেনার সঙ্গে সোমবার মন্ত্রীসভার সদস্যদের সাথে বোরখা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এরপর মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার সকালে ৭০% বৌদ্ধ এবং ১৫% হিন্দু অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা সভায় অংশ নেয় সেদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা। ৩ টি গির্জায় এবং ৫ টি হোটেলে ধারাবাহিক বিষ্ফোরনে মৃত্যু হয় ৩৬ জন বিদেশী এবং ৫ জন ভারতীয় সহ মোট ৩২১ জনের।
কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার বদলা নিতেই পাল্টা খ্রিষ্টানদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে ভিডিওবার্তায় দাবি করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা তো বটেই, দক্ষিন এশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এতো বড় জঙ্গি হামলার নজির নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হামলায় ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকার করার আগেই ন্যাশনাল ত্বহিদ জামাতের দিকে সন্দেহের তীর উঠেছিল। গত বছরেই একটি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় এই ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগসাজশ প্রমানিত হয়।