তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মাঝে তৃতীয় দফায় ভোটের বলি এক ভোটার

644
তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মাঝে তৃতীয় দফায় ভোটের বলি এক ভোটার/The News বাংলা
তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মাঝে তৃতীয় দফায় ভোটের বলি এক ভোটার/The News বাংলা

ছেলেকে প্রথমবার ভোট দিতে নিয়ে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না বাবার। তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মাঝে তৃতীয় দফায় ভোটের বলি এক ভোটার। মুর্শিদাবাদের রানিতলায় বালিগ্রামে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পিয়ারুল আবুল কালাম নামে এক ভোটারের। লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই মৃত্যু হয় ওই ভোটারের। এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আপাতত ভোট গ্রহণ বন্ধ আছে রানিতলায় বালিগ্রামের ওই বুথে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে বিশাল বাহিনী। কি ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস ও তৃণমূল একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। কংগ্রেস এর তরফ থেকে মৃত পিয়ারুল আবুল কালাম কে তাদের সমর্থক বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ক্ষমা চেয়েও আবার এক ভুল, রাহুলকে আদালত অবমাননার নোটিশ ধরাল সুপ্রিম কোর্ট

ছেলে কেরালায় থাকে কাজের সূত্রে। এবার প্রথমবার ছেলে ভোট দেবে। তাই উৎসাহ নিয়েই ছেলেকে বুথে ভোট দিতে নিয়ে এসেছিল মুর্শিদাবাদের রানিতলায় বালিগ্রামের পিয়ারুল আবুল কালাম। কিন্তু এটাই যে তাঁর শেষ ভোট দিতে আসা হবে তা কেউই ভাবতে পারে নি। বুথের বাইরে সেই সময় তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় বলেই জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ডোমকলে বোমা ছোঁড়ার ভিডিও ভাইরাল, দেখুন দুষ্কৃতীদের বোমা ছোঁড়ার লাইভ ভিডিও

আর তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মাঝেই পড়ে যান পিয়ারুল আবুল কালাম নামে ওই ব্যক্তি। তাঁকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। বাধা দিতে গেলে মার খান ছেলেও। পড়ে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোটের লাইনে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ এই বুথটা আমার, এখানে এত পুলিশ কেন, রাজ্য পুলিশকেই শাসানি তৃণমূল বিধায়কের

কংগ্রেস নেতা আবু হেনা জানিয়েছেন, তৃণমূলের মারেই মৃত্যু হয়েছে এই কংগ্রেস সমর্থকের। তবে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান জানিয়েছেন, এর সঙ্গে ভোটের কোন সম্পর্ক নেই। এটা পারিবারিক শত্রুতার জের বলেই জানিয়েছেন তিনি।

এবার বাংলায় এই প্রথম ভোটের বলি হলেন কোন ভোটার। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কি করে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন