একটা ভিডিও, যা তুলে দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। নিয়ম শুধুই কি কিছু মানুষের জন্য? আর কিছু মানুষের জন্য কোন নিয়ম নেই? একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে বাইক দাঁড় করিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। দেদার সেলফি ও ভিডিও তোলা হচ্ছে। আর ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও নিয়েই এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। ২০ তারিখ, শনিবার সবেবরাত উৎসবের দিনে এই ভিডিও বলে দাবী করা হচ্ছে।
কি আছে এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে? যদিও এই ভিডিওর সত্যতা পরীক্ষা করে নি The News বাংলা। দেখে নিন ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওঃ
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্রিজের উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবকরা। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে চলছে অবাধ সেলফি। চলছে ভিডিও তোলা। রাতের অন্ধকারে গাড়ি থেকেও নেওয়া হচ্ছে ভিডিও। চরম নিরাপত্তায় মোড়া থাকে নবান্ন চত্বর। দ্বিতীয় হুগলী সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুতে কোন গাড়িকে দিন রাত কখনই দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। কিন্তু কি এমন হল, এত মানুষ এতক্ষণ ধরে বাইক নিয়ে, গাড়ি নিয়ে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে রইল? বিশেষ ছাড় কেন দেওয়া হল? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ভোট হবে বাংলায়
বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু। রাজ্যে হুগলি নদীর ওপর দুটো ব্রিজের মাধ্যমে হাওড়া ও কলকাতা শহর দুটির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষিত হচ্ছে। সেতুটি সব রকম যানবাহনের ক্ষেত্রেই টোল সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মোট দৈর্ঘ্য ৮২২.৯৬ মিটার। এটি ভারতের দীর্ঘতম ঝুলন্ত (কেবল-স্টেইড) সেতু এবং এশিয়ার দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুগুলির মধ্যে একটি।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় নিজের কেন্দ্রেই বিজেপিকে ভোট দেবার অবাক করা আবেদন কংগ্রেস প্রার্থীর
সেতুটি নির্মাণ করতে মোট ৩৮৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল।
উদ্বোধনের পর থেকেই মানুষের নিরাপত্তার কারণে বিদ্যাসাগর সেতুর ফুটপাত দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত নিষিদ্ধ আছে। দলবল নিয়ে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ। রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্থে কলকাতার দিকে উত্তরের ইস্পাত পাইলনের ধার ঘেঁষে একটি স্বয়ংক্রিয় উন্নায়ক বা লিফট প্রথম থেকেই তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু শরণার্থীরা নিশ্চিন্তে থাকুন, তাড়ানো হবে শুধু অনুপ্রবেশকারীদের, আশ্বাস অমিতের
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান প্রশাসনিক ভবনের কার্যালয় কলকাতার ‘মহাকরণ’ থেকে হাওড়া শিবপুরের ‘নবান্ন’তে স্থানান্তরিত হওয়ায় বিদ্যাসাগর সেতুর গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। বেড়েছে অনেক বেশি নিরাপত্তা। তারপরেও এই ছবিতে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। পুলিশের তরফ থেকে এই নিয়ে মুখ খোলা হয় নি। তবে প্রশ্ন উঠে গেছে, কি করে এরা পুলিশের নজর এড়িয়ে দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে আড্ডা দিতে পারছে?
আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই চরম লজ্জা, চৌকিদার চোর বলায় ক্ষমা চাইতে হল রাহুল গান্ধীকে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।