কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা মেরে এলাকা থেকে তাড়ানোর ফতেয়া তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রীর

934
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা মেরে এলাকা থেকে তাড়ানোর ফতেয়া তৃণমূল বিধায়কের/The News বাংলা
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা মেরে এলাকা থেকে তাড়ানোর ফতেয়া তৃণমূল বিধায়কের/The News বাংলা

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা পেটা করে এলাকা থেকে তাড়ানোর নির্দেশ তৃণমূল বিধায়কের। আর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে হইচই। তৃণমূলের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাঁদের মহিলা সদস্যদের সেনাকে ঝাঁটা পেটা করার নিদান দিয়েছেন। ভিডিও নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ভারতী ঘোষের বাড়িতে মমতার পুলিশ

নদীয়া জেলার তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করের গলায় যেন আর এক মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সুর। এর আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত মুচড়ে দেবার কথা বলে বিতর্কে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার আর এক ধাপ এগিয়ে কর্মিসভায় দলীয় কর্মীদের চাকদহের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর বললেন, “ঝাঁটা হাতে তাড়া করে সেন্ট্রাল ফোর্সকে এলাকা ছাড়া করে দেবেন”। আর এরপরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের প্রচার করায় ফেরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের

ঠিক কি বলেছেন নদীয়ার চাকদহের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করঃ

“যুদ্ধ জিততে গেলে গণতন্ত্রের কথা মাথায় রাখলে হবে না। যে ভাবেই হোক জিততে হবে”, দলের নেতা কর্মীদের এই ভাষাতেই ভোকাল ত্নিক দিলেন চাকদহের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। কেন্দ্রীয়বাহিনী বাড়াবাড়ি করলে কী করতে হবে, সেই দাওয়াইও এদিন দিয়ে দেন রত্না। “যেখানে বাড়াবাড়ি করবে, আমি মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বকে বলব, ঝাঁটা হাতে তাড়া করে সেন্ট্রাল ফোর্সকে এলাকা ছাড়া করে দেবেন”।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোটে দুই দুর্গা, দুই পুরুষের লড়াইয়ে প্রচারে দাপট দেখাচ্ছেন দুই নারী

একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে এনে দিয়েছে রত্নার এই বিস্ফোরক মন্তব্য। যেখানে তিনি বলছেন, “যুদ্ধ জিততে গেলে ন্যায়-অন্যায়, গণতন্ত্র-ফনতন্ত্র বলে কিছু নেই। যুদ্ধে জিততে হবে। আর তার জন্য যে পদ্ধতি নিতে হয় তাই নিতে হবে”। এখানেই থামেননি মমতা মা মাটি মানুষ সরকারের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর।

আরও পড়ুনঃ দেশকে চমকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে রূপান্তরকামী রাধা

তিনি আরও বলেন,”২০১৬তে আমদের কর্মীরা সেন্ট্রাল ফোর্সের তাড়া খেয়েছিল। রক্তাক্ত হয়েছিল আমাদের কর্মীরা। এবারের চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। কোনও চিন্তা নেই। আমি ভোটের দিন অঞ্চলে অঞ্চলে বুথে বুথে যাব। কোনও সেন্ট্রাল ফোর্স আমরা তোয়াক্কা করি না। যেখানে বাড়াবাড়ি করবে, আমি মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বকে বলব ঝাঁটা হাতে তাড়া করে সেন্ট্রাল ফোর্সকে এলাকা ছাড়া করে দেবেন”।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দাবি ‘কলা আর বউ’

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূম জেলা সভাপতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, “কোনও নির্দল প্রর্থীকে ভোট নয়। সব ভোট জোড়া ফুলে। যদি কোনও পুলিশ আটকাতে আসে, পুলিশের গাড়িতে বোম মারুন। আমি বলছি বোম মারতে”।

আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে হারাতে মুসলিমদের একজোট হবার আহ্বান সিধুর, ভোটবাজারে ধর্মে সুড়সুড়ি

এরপরেও তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল, সেনাকে ‘মোদীর দালাল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলে। কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত মুচড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এবার ঝাঁটা মেরে এলাকা থেকে তাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের আর এক মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের প্রচারে ফিরদৌস, মমতার সঙ্গে জামাত জঙ্গি যোগের অভিযোগ রাহুলের

রত্নার বক্তব্য ও ভিডিও নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি। তবে ফোনে পাওয়া যায় নি মন্ত্রী রত্না ঘোষ করকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল ও বিজেপির সায়ন্তন বসু ও বাবুল সুপ্রিয়কে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য শোকজ নোটিস ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন এই ভিডিও দেখা পর ও বিজেপির অভিযোগ পাবার পর রাজ্যের মন্ত্রী রত্নার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয় কমিশন, সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি কালো টাকা উদ্ধারের পর ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের হয়ে প্রচার করে ভারতের কালো তালিকায় বাংলাদেশী অভিনেতা ফিরদৌস

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন