পাকিস্তানের কোয়েটার হজরগঞ্জ বাজারে বিস্ফোরণে সংখ্যালঘু হজরা সম্প্রদায়ের সদস্যসহ অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে। সব্জি বাজারে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ এর লক্ষ্য ছিল বলেই জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ অভিনন্দনের ছবি ব্যবহার করে বন্ধ হোক ভোট প্রচার দাবি সেনাকর্তাদের
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আক্রমনের লক্ষ্য ছিল ওই এলাকার সংখ্যালঘু হাজারে সম্প্রদায়। ডন পত্রিকাকে দেওয়া বিবৃতিতে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল আব্দুর রাজ্জাক এই কথা জানিয়েছেন। ফলে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিশ্রুতি যে কতটা ভাঁওতা তা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ প্রতিশ্রুতি মতো ১০০ ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান
বেলুচিস্তানের প্রধান শহর কোয়েটায় এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা এখনও অবধি ৩০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। অসংখ্য মানুষ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে বলেই জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী আসছে বাংলায়
শুক্রবার সকালের দিকে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরক বোমাটি (আইইডি) সব্জি বাজারে সব্জির মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় বলে পাক পুলিশ জানিয়েছে। কোয়েটা রাজ্যের হজরগঞ্জ এলাকায় এই বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও ৮ জন মারা যান। বেলুচিস্তানের রাজধানী হজরা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা থাকেন।
আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন
হাজারেরা পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং তাদের অধিকাংশই কোয়েটায় বসবাস করে। আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তে অবস্থিত বেলুচিস্তানটি পাকিস্তানের বৃহত্তম এবং দরিদ্রতম প্রদেশ, জাতিগত, সাম্প্রদায়িক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের দ্বারা প্রভাবিত।
আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন
হজরা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় বিস্ফোরণই আততায়ীদের মূল লক্ষ্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণে আশেপাশের বাড়িঘরও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের তরফ জানানো হয়েছে। ডিআইজি কোয়েটা আব্দুল রাজ্জাক চেমা সাংবাদিকদের বলেন, আহতদের মধ্যে চারজন ফৌজদারি কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। বিস্ফোরণের পাশে অবস্থিত ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস
বিস্ফোরণের পরেই আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানিয় বোলান মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে বলে স্থানিয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পাক পুলিশ। অপরাধীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে
কোন দলই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাকিস্তান সরকারের তরফে সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি ঘাঁটিতে ফের হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।