রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন

598
রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা
রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা

রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপ আনল নির্বাচন কমিশন। প্রচার থেকে বুথে সব ঝামেলায় এবার থাকছে ৬টি বিশেষ অ্যাপস। একনজরে দেখে নিন, কি কি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন

আরও পড়ুনঃ ভোট বুথে গুন্ডাগিরি ও রিগিং রুখতে নির্বাচন কমিশন আনল বিশেষ অ্যাপ

১) সুবিধা অ্যাপঃ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে কোন রাজনৈতিক দল যদি কোন মিটিং মিছিল বা কোন সভার অনুমতি চায় তাহলে আর এবার কাউকে নির্বাচন কমিশনের দফতরের দ্বারস্থ হতে হবে না। সে কারণে নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছিল নতুন আরেকটি অ্যাপ যার নাম দেয়া হয়েছিল সুবিধা। নিজেদের কার্যক্রমের ৫ দিনের আগে এই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলেই মিলবে কমিশনের তরফে অনুমতি। যে অনুমতি কে নিয়ে যে কোন রাজনৈতিক দল কোন মিটিং মিছিল বা রাজনৈতিক সভা করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ রাহুলের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়ানাড ভারতে নাকি পাকিস্তানে, সন্দেহ প্রকাশ অমিতের

রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা
রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা

২) সিভিজিল অ্যাপঃ
তবে সব থেকে আকর্ষক হয়েছে ২০১৯ সালের সিভিজিল অ্যাপ। গোটা দেশের মানুষ যে কোন প্রান্ত থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে এই অ্যাপটিকে ডাউনলোড করে নিজের নাম ঠিকানা সহ স্টিল বা ভিডিও ফটোগ্রাফি করে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারবে। যে অভিযোগ জানানোর পর ১০০ মিনিট এর মধ্যে কমিশন সমাধান করবে তার সমস্যার।

আরও পড়ুনঃ মহাজোটের ভরসা আলী হলে বাকিদের ভরসা বজরঙ বলী, মন্তব্য আদিত্যনাথের

৩) ভোটার হেল্প লাইন অ্যাপ‌ঃ
তবে কেবল অভাব-অভিযোগ নয় সমগ্র ভোটারদের জন্য খোলা হয়েছিল ভোটার হেল্প লাইন অ্যাপ‌। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে একজন ভোটার সবকিছু জানতে পারবে এই ভোটার হেল্প লাইন অ্যাপ এর মাধ্যমে। নিজের নাম ভোটার লিস্টে কত নম্বরে আছে বা নিজের বুথ কোন জায়গায় সব কিছুই জানা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।

রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা
রিগিং বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৬টি বিশেষ অ্যাপস আনল নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা

৪) ন্যাশনাল গ্রীভেন্স সেকশন অ্যাপঃ
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের সুবিধার্থে সারা দেশব্যাপী একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল। ন্যাশনাল গ্রীভেন্স সেকশন। জাতীয় স্তরে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অ্যাপ এ অভিযোগ জমা পড়েছে বহুমাত্রায়। যার সমাধান কমিশন করে ফেলছে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।

আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মহাজোটের ভরাডুবির আশঙ্কা, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

৫) অনুভব অ্যাপঃ
কমিশনের এবার মূল লক্ষ্য ছিল যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তাদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায়। সব দিক চিন্তা ভাবনা করেই পি ডব্লিউ ডি দের জন্য একটি অ্যাপ এনেছিল কমিশন যার নাম দেওয়া হয়েছিল অনুভব। বিগত দিনে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন গুলিতে দেখা গিয়েছে দেশের মধ্যে যারা শারীরিকভাবে অক্ষম তা চিরদিনই থেকে গেছে প্রদীপের তলায় অন্ধকারের মধ্যেই। কেউই কখনো তাদের দিকে ঘুরে তাকায়নি। অবশেষে ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এ বছর তাদের মূল লক্ষ্য যারা শারীরিকভাবে একেবারেই অক্ষম যারা কখনো ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের গিয়ে নিজের ভোটটা দিতে পারেন না। তাদেরকেই নির্বাচন কমিশন এবার ভোট মুখী করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। আর তা নিয়েই নির্বাচন কমিশন দেরিতে হলেও তাদের জন্য তৈরি করেছে এক বিশেষ এক যার নাম অনুভব।

৬) পোল ডে মনিটরিং অ্যাপঃ
রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা তৈরি করলেন এক বিশেষ অ্যাপ। ভোটের দিন বুথের ভেতর ও বাইরে যে কোনো রকম অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা রুখতেই এই অ্যাপ তৈরি করেছেন তাঁরা। আঙুলের এক ছোঁয়াতেই এক নিমেষে বুথের হাল হাকিকতের সম্পূর্ণ ছবি ফুটে উঠবে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের দফতরে। বুথ স্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখার জন্য এই অ্যাপটি আনছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের দফতর।

আরও পড়ুনঃ ৩৭০ ধারা বিলোপ হলে ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি ফারুক আবদুল্লাহর

নির্বাচন কমিশনের এই গুরুত্বপূর্ণ ৬ টি অ্যাপস এর পাশাপাশি কমিশন তাদের নিজেদের কাজ করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক আগে থেকেই। তবে সেই অ্যাপসগুলির নাম নির্বাচন কমিশন কোনমতেই সাধারণ মানুষকে জানাতে চায় না তার কারণ সেই অ্যাপসগুলির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন চুপিসারেই তাদের নিজেদের কাজ সারতে চায়।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে কাশ্মীরের ৩৭০ এবং ৩৫ এ নং ধারা বিলোপের প্রতিশ্রুতি

যে কাজ সারার মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট কি করে করানো যায় তা নিয়েই তৈরি হয়েছে কমিশনের নিজস্ব বেশ কিছু অ্যাপ। হাতে মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা তার পরেই শুরু হয়ে যাবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা নির্বাচন। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশনের এই মূল ছটি অ্যাপস কতটা সুবিধা দিতে পারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এবং কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে সক্ষম হয় নির্বাচন কমিশন সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন