১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। এই দফায় ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোট হবে। সেই সূত্রে নির্বাচনের জন্য আলিপুরদুয়ার-ভুটান সীমান্ত সিল করে দেওয়া হচ্ছে। ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে নির্বাচনের জন্য তিন দফায় মোট ৯ দিন বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এই মর্মে রয়্যাল গভর্নমেন্ট অফ ভুটান-এর তরফে সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
ভুটানের ডাংখাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (Dungkhag Administration) এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে। গতকাল বিকেলে ভুটান সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছয় আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক ভবন ‘ডুয়ার্স কন্যা’-য়। বলা হয়েছে, সীমান্ত বন্ধ থাকাকালীন ভুটানের সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে, সাধারণ নাগরিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি, সরকারি অফিসের কর্মীরা ও পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই নিষেধাজ্ঞা।
অথচ সবচেয়ে স্পর্শকাতর বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করার কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের এক কর্তার উক্তি, “অত বাহিনী কোথায়? গোটা দেশে ভোটের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বাহিনী। এক্ষেত্রেও সমস্যা সেটাই”। আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। তবে কি বাংলাদেশ সীমান্ত এই মুহূর্তে অনেকটাই অরক্ষিত?
সেক্ষেত্রে বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না তো? ঢিলেঢালা সীমান্তের সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা ঢুকে পড়বে না তো? প্রশ্নগুলো উঠছেই। তবে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের ওই কর্তা জানাচ্ছেন, যে এলাকাগুলোয় কাঁটাতার রয়েছে, সেখানে কোনও সমস্যা নেই। তবে ভোটের দিন সীমান্ত পার হয়ে যদি দুষ্কৃতীরা গোলমাল পাকাতে আসে? নির্বাচন কমিশন কর্তার উত্তর আসে, “ভোটের বুথে সুরক্ষা থাকছে তো”।
বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা ভারতে ঢুকে বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে অরাজকতার কাজ করলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রশ্ন উঠে গেল সেই নিয়েও। তবে এক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষা বল বা বিএসএফের উপর ভরসা রাখছে নির্বাচন কমিশন।
তবে উত্তরবঙ্গ ও আসামের ভোটের দিকে চেয়ে সিল করা হল ভারত ভুটান সীমান্ত, তিন দফায় ৯ দিন বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর জেরে ব্যবসা বাণিজ্যও মার খেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।