কংগ্রেসের সভায় মুসলিম লীগের পতাকা, ভাইরাস বলে কটাক্ষ যোগীর

554
কংগ্রেসের সভায় মুসলিম লীগের পতাকা সহ উপস্থিতিকে ভাইরাস বলে কটাক্ষ যোগীর/The News বাংলা
কংগ্রেসের সভায় মুসলিম লীগের পতাকা সহ উপস্থিতিকে ভাইরাস বলে কটাক্ষ যোগীর/The News বাংলা

কেরালায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নিশ্চিত আসনে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। আর তাতেই বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন তাদের ইসলামী পতাকা নিয়ে উপস্থিত থাকছেন কংগ্রেসের জনসভাগুলোতে। আর এতেই রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

আরও পড়ুনঃ ধাক্কা খেল মোদী সরকার, পাকিস্তানের কোন এফ ১৬ বিমান ধ্বংস হয় নি জানাল আমেরিকা

এদিন যোগী আদিত্যনাথ কংগ্রেসের জোটসঙ্গী মুসলিম লীগকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন এবং ভোটেরদেরও কংগ্রেস সম্পর্কে সচেতন করেন। যোগী তার নির্বাচনী জনসভায় মুসলিম লীগের সম্পর্কে বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অবধারিত।

আরও পড়ুনঃ মোদী কি করে প্রধানমন্ত্রী হল ভগবান জানে, মাথাভাঙায় বিস্ফোরক মমতা

এর আগেও অমিত শাহ এবং স্মৃতি ইরানী রাহুলকে দক্ষিন ভারতে লড়ার ব্যাপারে কটাক্ষ করেছিলেন। অমিত শাহ বলেছিলেন, রাহুল গান্ধী এমন একটি আসন থেকে লড়ছেন, যেখানে সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু। সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ভোটে রাহুল ভরসা করতে পারছেন না বলে অনেকে কটাক্ষ করেছেন।

স্মৃতি ইরানী উল্টে রাহুলকে বলেছেন, আমেঠীতে হার অপেক্ষা করছে রাহুল গান্ধীর জন্য, তাই তিনি কেরালা থেকে নিরাপদ আসনে লড়তে চলেছেন। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেসকে সাম্প্রদায়িক দল বলতে ছাড়েনি সিপিএমও।

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তৃণমূল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও কোটি কোটি টাকা

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেরালায় কংগ্রেস জোট করেছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML), স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) সাথে। দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের নামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালানোর অভিযোগ এনেছিল এনআইএ (NIA)। এদিকে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাথে জামাত ই ইসলামীর যোগসাজশ প্রমাণিত হয়েছে বহুবার।

আরও পড়ুনঃ ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন দেশের ২০০ জন লেখক

ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML) ও স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (SDPI) সক্রিয় বেশ কিছু সদস্যকে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই অস্ত্র সমেত গ্রেফতারও করা হয়েছিল। দুই দলেরই ২৪ জন সক্রিয় কর্মী সেবার গ্রেফতার হয়।

এসডিপিআই এর তরফে ২০১৪ সালে স্থানীয় একটি স্কুলে বন্দে মাতরম গাইবার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। হাত জোড় করে প্রনাম করার রীতিরও বিরুদ্ধাচারণ করেছিল তারা। তাদের বক্তব্য, এতে সংখ্যালঘুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে গান্ধী ও বাংলায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রকে ব্রিগেডে খোঁচা মোদীর

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন