ভারতকে সামরিক ড্রোন বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই আধুনিক সামরিক ড্রোন; ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তেও সক্ষম বলে জানা গেছে। ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তিতেই; আমেরিকা গার্ডিয়ান সামরিক ড্রোন ভারতকে বিক্রি করতে রাজি হয়।
ভারতই প্রথম দেশ; যাদের এই এমটিসিআর ক্যাটেগরি ১, মানুষ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় চালিত আধুনিক সামরিক ড্রোন দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। The Sea Guardian UAS এই নামেই বিখ্যাত এই স্বয়ংচালিত মানুষহীন যান। সমুদ্রের উপর কড়া নজর রাখতে পারে বলেই এই নাম দেওয়া হয়েছে। ২.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে চলেছে।
এছাড়াও আমেরিকা ভারতকে; Terminal High Altitude Area Defense system (THAAD) ও দিতে চলেছে। যা দুরপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল আটকাতে সক্ষম। এই চুক্তিতে আরও বেশ কিছু সামরিক সহায়তা; ভারতকে দেবে মার্কিন প্রশাসন।
ভারতকে সামরিক ড্রোনসহ সমন্বিত আকাশসীমা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা; সহায়তা দিতে রাজি ট্রাম্প প্রশাসন। সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া ভারতকে; বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে এই সামরিক বা অস্ত্র সহায়তা দিলেও; ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত স্বার্থও; এই সহায়তার পেছনে কাজ করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা গোপন রাখেনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায়; আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ); ৪৯ জন জওয়ান শহীদ হন। অন্যদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন ক্রমান্বয়ে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।
এই অঞ্চলে একে অনেকেই চীন কর্তৃক সামরিকায়ন বলে বর্ণনা করছেন। মূলত এই দুটি কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে; সামরিক সহায়তাদানে সম্মত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক কূটনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্র বলছে; ট্রাম্প প্রশাসন ভারতকে সর্বোচ্চ উত্কৃষ্ট প্রযুক্তি দিয়ে সামরিক সহায়তা করতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নিরাপদতম প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি; সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। আর তাই, এমটিসিআর ক্যাটেগরি ১; মানুষ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় চালিত আধুনিক সামরিক ড্রোন দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে; এক হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সামরিক ড্রোন বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে। ভারতকে আমরা সমন্বিত আকাশসীমা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিক্রিরও একটা প্রস্তাব দিয়েছি। তবে কবে নাগাদ এই লেনদেন সম্পন্ন হতে পারে; সে বিষয়ে কোনো কিছু জানাননি এই কর্মকর্তা।