ফের লোকসভায় পেশ হল; তিন তালাক বিল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ; শুক্রবার লোকসভায় নতুন করে বিলটি পেশ করেন। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি পাস হলে; মুসলিম মহিলাদের বিয়ের অধিকার রক্ষা বিল ২০১৯; এই আইন হিসেবে গ্রাহ্য হবে।
১৬ তম লোকসভা ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই; আগের তিন তালাক বিলটি বাতিল হয়ে যায়। প্রথম মোদী সরকারের আমলে; বিলটি লোকসভায় পাস হলেও; বিলটি আটকে গিয়েছিল রাজ্যসভায়। বিরোধীরা দাবি জানিয়েছিল; বিলটি পাঠানো হোক সিলেক্ট কমিটিতে। সেখান থেকে আবার বিল উঠল সাংসদে।
স্ত্রীকে ছেড়ে যাওয়ার উদাহরণ কেবল একটি ধর্ম সম্প্রদায় নয়; সমস্ত ধর্মের পুরুষদের মধ্যেই দেখা যায়। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি; শুধু মুসলিম পুরুষদের উদ্দ্যেশ্যে নয়; একটি অভিন্ন নীতির ভিত্তিতে তৈরি হোক বিল।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তে শহীদ জওয়ানের বোনের বিয়েতে হাজির বায়ুসেনার গরুড় কম্যান্ডোরা
নতুন এই বিলেও তিল তালাককে; ফৌজদারি অপরাধ বলে গন্য করা হবে। ফলে তালাক প্রদানকারী স্বামীর জেলও হতে পারে। এই ধরেনর সুপারিশের বিরোধিতা করেছে; কংগ্রেস সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলগুলি।
সরকারের দাবি; তিন তালাক বিল পাস হলে; মহিলাদের ওপরে নির্যাতনের হার কিছুটা কমবে। এবং মুসলিম মহিলাদের সমানাধিকারও দেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘সবকা সাথ ও সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্রকে সামনে রেখেই; তিন তালাক বিল পাস করানোর উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার।
আগে তিন তালাক অর্ডিন্যান্সকে আইনের রূপ দিতে; সংসদে বিল এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত ২৭ ডিসেম্বর; এই বিল পাশও হয়ে যায় লোকসভায়। কিন্তু রাজ্যসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। তাই রাজ্যসভায় বারবার আটকে গেছিল এই বিল। সেইসময় বিরোধী দলগুলি; এই বিলের বিরোধীতায় সরব ছিল।
দ্য মুসলিম উইমেন বিল; রাজ্যসভায় পাশ হওয়া তখনও বাকী ছিল। লোকসভায় তা পাশ করিয়ে নেয়; কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। শেষ বাজেট অধিবেশনে; তা পাশ করানোর জন্য উঠলেও; রাজ্যসভায় বিরোধীদের চাপে; তা শেষ পর্যন্ত সরকার পাশ করাতে পারেনি তখন।
বিরোধীরা এই বিলের বারবার বিরোধিতা করে এসেছে। মুসলমান পুরুষদের সাজা দিতেই; এই বিল তৈরি হয়েছে বলে; অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এদিকে সরকারের দাবি; মুসলমান মহিলাদের সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়েছে।