কৃষ্ণা দাস, The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ ১৬ডিসেম্বরঃ শুধু দিনের বেলায় নয়, দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেনে চেপে এবার সন্ধ্যাবেলাতেও উপভোগ করুন পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের জন্য চালু হল ঐতিহ্যের টয় ট্রেনের সান্ধ্যকালিন পরিষেবা।
আরও পড়ুনঃ যুবভারতীতে ইতিহাস অ্যালেসান্দ্রোর ইস্টবেঙ্গলের, শাপমোচন ৩৩ মাস পর
দার্জিলিং-এ আগত পর্যটকদের গোধুলি লগ্নের অপরূপ পাহাড়ি দৃশ্যকে প্রত্যক্ষ করাতে রবিবার থেকে শুরু হল দার্জিলিং-এর ঐতিহ্যের টয় ট্রেনের সান্ধ্যকালিন পরিষেবা। আর এই পরিষেবা শুরু হওয়ায় এবার থেকে দিনের উজ্জ্বল আলোর পাশাপাশি, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতেও পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেন সফরের আনন্দ নিতে পারবে পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারন স্থানীয় যাত্রীরাও।
রবিবার স্টিম ইঞ্জিন চালিত ঐতিহ্যের এই টয় ট্রেনটির উদ্বোধন করেন নর্থ-ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তা। প্রথম দিন কোনো যাত্রী ছাড়াই ট্রেনটি পরীক্ষামূলক ভাবে পাহাড়ের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
এদিন এই সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেনের উদ্বোধনের পর ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তা জানান, ‘আপাতত দুটি কোচ নিয়ে সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেন চালান হবে। চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তিতে আরও কোচ বাড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেনীর কামরা ও একটি ডাইনিং কোচ চালান হবে’।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি দিল না মমতা প্রশাসন
প্রথম শ্রেনীর কামরায় মোট ১৭টি সিট ও ডাইনিং কোচটিতে ১২টি সিট রয়েছে। ভাড়া মাথাপিছু যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা। ডাইনিং কোচের বিশেষত্ব হল, কামরাটিতে প্রবেশ করলে হেরিটেজের মতো অনুভুতি হবে। সেভাবেই কামরাটিকে সাজানো হয়েছে। ডাইনিং কোচটিতে খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘আইআরসিটিসি’-কে।
জানা গেছে, বর্তমানে সাধারণভাবে স্টেশানে গিয়ে বুকিং করতে হবে। পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমেও বুকিং করা যাবে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে সুকনা পর্যন্ত পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সেভাবে উপভোগ করতে না পারলেও, সুকনার পর থেকে রঙটং পর্যন্ত পাহাড় ও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বারবার মানুষকে টয়ট্রেনে করে ভ্রমন করার দিকে আকর্ষিত করে তুলবে বলে আশাবাদী রেল কর্তারা।
আরও পড়ুন: ‘অশিক্ষিত রাজনীতিবিদ’ কলঙ্ক ঘোচাতে বুড়ো বয়সে মাধ্যমিকে
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি জংশন থেকে প্রতিদিন দার্জিলিং পর্যন্ত সকাল সাড়ে আটটায় একটি টয় ট্রেন ছাড়া হয়। অন্যদিকে দার্জিলিং থেকে আর একটি ট্রেন সকাল আটটায় ছেড়ে দুপুরের পর শিলিগুড়ি পৌছায়। তবে স্বল্প দৈর্ঘের দুরত্বে কয়েকঘন্টা টয় ট্রেন সফর করতে কতটা চাহিদা রয়েছে সেটাই দেখার জন্য সম্ভবত সান্ধ্যকালীন টয় ট্রেনের সুচনা করল ডিএইচআর বলে অনেকের ধারনা।
ট্রেনটির ভেতরে কোনো রান্নার ব্যবস্থা নেই। তবে চা, কাটলেট, গরম গরম সিঙারা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চিপস, কাটলেট জুস সমস্তটাই এমআরপির দাম অনুযায়ী পাওয়া যাবে এখানে। চা-এর দামও রাখা হয়েছে সাধারণের নাগালের মধ্যে। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতেই সময় চলে যাবে।
আরও পড়ুনঃ মালাবদলের ঠিক আগেই বিয়েবাড়ি অভিযানে পুলিশ প্রশাসন
যেখানে ৩৫ মিনিট থামবে ট্রেনটি সে সময় আশেপাশের জায়গায় একটু ঘুরে ফিরে পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করে ফের গন্তব্যে ফেরার পালা৷ তিনঘন্টায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং গিয়ে আবার ওইদিনই ট্রেনে করে ফিরে আসার জন্য ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা দিয়ে মোট ১৬ কিমি পথ সান্ধ্যভ্রমন করতে পর্যটক কিংবা সাধারণ মানুষ কতটা উৎসাহি হয় সেটাই এখন দেখার।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা