The News বাংলা: মুকুল রায়ের হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ছেড়ে নরেন্দ্র মোদীর দলে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ। বুধবারই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন সৌমিত্র খাঁন। আরও পাঁচ-ছয় জন তৃণমূল নেতা লোকসভার আগেই বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে আভাস দিয়েছেন মুকুল রায়।
পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ করে মঙ্গলবারই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁন। সেই ঘটনার একদিন কাটতে না কাটতেই দিদির দল ছেড়ে মোদীর দলে এই সাংসদ। বারবার বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে খবরে আসা সাংসদ, এবার নতুন চমক দিলেন। বুধবার বিকালে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।
২০১৪ সালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন সৌমিত্র। তাঁর রাজনৈতিক জীবন অবশ্য শুরু কংগ্রেস নেতা হিসেবেই। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বিধায়কও হন তিনি। এরপরই তৃণমূল তাঁকে লোকসভার টিকিট দেয়। মুকুল রায় শিবিরের নেতা ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
কুম্ভমেলায় বিশ্বরেকর্ড গড়ল যোগীর রাজ্য, তৈরি হল আস্ত একটা শহর
সোনিয়া রাহুলকে ১০০ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার নোটিশ
গুরুবারে শুরু অযোধ্যায় রাম মন্দির বাবরি মসজিদ শেষ লড়াই
বাংলায় রাস্তায় বিজেপির রথ চলবে কিনা ঠিক হবে আগামী মঙ্গলবার
অতীতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সৌমিত্র খাঁনকে সরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানো হয়েছিল। সেই থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ খারাপ। মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁরও বিজেপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছিল।
বারবার বিস্ফোরক মন্ত্যব্য করে বিতর্কে এসেছেন তিনি। সাম্প্রতিক বিতর্কটি হয় মঙ্গলবার রাতে। যখন তিনি রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে তাঁর আপ্তসহায়ককে অপহরণের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের তির ছিল এক পুলিশ অফিসারের দিকে।
মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁন। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতেই পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি।
মুকুল রায়ের দাবি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও পাঁচ-ছয় জন বর্তমান তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে তাঁরা কারা, সেই নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি তিনি। তবে এই নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূলে।
আরও পড়ুনঃ
উচ্চবর্ণের গরীব হিন্দুদের জন্য সংরক্ষণ মোদীর, দেশ জুড়ে বিতর্ক
ফের গরু চোর সন্দেহে খুন, এবার ‘গোরক্ষকের’ নাম মুসলিম মিঁয়া
Exclusive: লোকসভা ভোটের আগে মমতার পুলিশে ব্যপক রদবদল, ১২০ অফিসার বদলি
বউ অদল বদল, বিকৃত যৌনাচারে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহবধূর
হিন্দুত্ববাদীদের নিশানা করতে মসজিদে পাথর ছুঁড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা, ধৃত সিপিএম নেতা
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভোট শতাংশ বাড়ে। তারপর থেকেই এ রাজ্যে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূলের ঘর ভাঙানোর চেষ্টা করছে। তার জন্যে দলে নেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে। সেই চেষ্টাই এবার কার্যত বাস্তব হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তারা বড় ধাক্কা দিতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরে, এমনটাই দাবি।
মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মহাকুমা পুলিশ আধিকারীকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁন। তাঁর অভিযোগ ছিল, লোকসভায় ভোটে লড়তে চান এসডিপিও সুকমল দাস। লক্ষ্যপূরণে মঙ্গলবার সাংসদের আপ্তসহায়ক সুশান্ত দাঁ ওরফে গোপিকে তুলে নিয়ে যান সুকমল দাস। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সৌমিত্রবাবু।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি বলেন, ” বাংলায় পিসি-ভাইপোর রাজত্ব চলছে। আর কারও কোন কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্র নেই দলে, তাই দল ছাড়লাম”। তবে ‘দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল’ বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তবে, আর কোন কোন নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে যেতে পারেন, সেই হিসাবই কষছে ঘাসফুল শিবির।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।