The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ ইংরেজরা বলে গেছেন, ‘Every Time is Tea Time’। আর সব বিষয়ের মত এই প্রবাদটাও এখন আমাদের আপন হয়েছে। প্রবাদের সঙ্গে চা ও হয়ে উঠেছে আমাদের প্রিয়। আর সে চা দিবস পালন করতে ও চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতেই রাস্তায় নেমে প্রত্যেককে চা খাওয়ালেন উত্তরবঙ্গ চা প্রডিউসরস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
আরও পড়ুনঃ মমতার বাধায় মোদীর রথ ফের ঢুকতে চলেছে সেই আদালতেই
সকালে ঘুম থেকে উঠেই যার কথা মনে পরে তা হলো চা। সেই চা পান করতে ভালোবাসেন না, হয়তো এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। সকাল, বিকেল, রাত্রি কিংবা সারাদিনই চা যেন আমাদের জীবনের অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর চা-এর প্রসঙ্গ আসতেই দার্জিলিং, গোটা উত্তরবঙ্গ কিংবা অসমের কথা সবার আগে আসে।
আরও পড়ুন: ‘অশিক্ষিত রাজনীতিবিদ’ কলঙ্ক ঘোচাতে বুড়ো বয়সে মাধ্যমিকে
আর সেই চা-এর স্থল নামে পরিচিত উত্তরবঙ্গে এবার অভিনব ভাবে পালন করা হল আন্তর্জাতিক চা দিবসকে। মানুষের মধ্যে চা পানের প্রবণতাকে বৃদ্ধি করতে এবং এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে রীতিমতো রাস্তায় নামল চা নির্মাতা সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করুক মোদী ও মমতা’ ঘোষণা বিচারপতির
‘আরও চা খাও, শিল্প বাঁচাও’ এই বার্তাকে মানুষের মধ্যে পৌছে দিতে সরাসরি মানুষের কাছে। একেবারে অভিনব কায়দায় দুধ চা ও লিকার চা
তৈরি করে প্রায় পাঁচ হাজার কাপ চা বিনামূল্যে বিতরন করে, চা দিবস পালন করল উত্তরবঙ্গ চা প্রডিউসরস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
উত্তরবঙ্গের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের রুজি রুটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চা এর ওপর নির্ভরশীল। তাই আন্তর্জাতিক চা দিবসের গুরুত্ব উত্তর বঙ্গবাসীদের কাছে অনেকখানি। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সাধারণ মানুষকে চা-এর প্রতি আরোও বেশি বেশি করে আগ্রহ বাড়াতে চা দিবসকে সামনে রেখে শনিবার শিলিগুড়ির ভেনাস মোড়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করল উত্তরবঙ্গ চা প্রডিউসরস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশান।
আরও পড়ুনঃ রাহুলের হার রাফায়েলে সুপ্রিম কোর্টে জয় নরেন্দ্র মোদীর
এদিন একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে সকলের হাতেই চা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সতীশ মিত্রুকা, প্রেসিডেন্ট ভিপিন সিঙ্গেল, সেক্রেটারি হর্ষ আগরওয়াল, সঞ্জয় ধনুটি সহ এই এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যরা। অন্যদিকে, এদিন সংগঠনের প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের চা যাতে আরও বেশী করে বিক্রি হয় সেই জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: কৃষক অসন্তোষে বিজেপির হার থেকে শিক্ষা নিল তৃণমূল
পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে রমেশ কুজুর বলেন, চা নিয়ে মানুষের মধ্যে খারাপ বার্তা গেছে, সেটা কাটিয়ে উঠতে এদিন সকলকে চা খাইয়ে চায়ের স্বাদ বোঝাবার চেষ্টা করা হল। চা যাতে আরও বেশী মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে সে জন্যই এই আন্তর্জাতিক চা দিবসের দিন সকলকে বিনামুল্যে দুধ চা ও লিকার চা বিতরন করা হয়।