সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন নিয়ম কানুনে এবার সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন বা ভোট করাতে চায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবার কমিশনের নতুন সমস্যা সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়াকে কন্ট্রোল করতে এবার কড়া কমিশন।
আরও পড়ুনঃ ৪৮ ঘণ্টা পর ৬০ ফুট গভীর গর্ত থেকে শিশুকে উদ্ধার করে কামাল ভারতীয় সেনার
সোশ্যাল মিডিয়াকে কড়া নজরে রাখবে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তথা ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধিকে অভিনব ও ঐতিহাসিক ব্যবস্থা বলে ব্যাখ্যা করে বলেন, নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষনার দিন থেকে সমগ্র প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান এই বিধি মেনে চলবে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতমাতা কি জয়’, বলে দলের মধ্যেই ফের বিপদে নেতা
সব রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির প্রেক্ষিতেই এই আচরণবিধি। শ্রী আরোরা সোস্যাল মিডিয়া সংগঠনগুলিকেও লোকসভা নির্বাচন তথা দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়ম মেনে চলার জন্য একই ধরনের বিধি প্রণয়নের পরামর্শ দেন। নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত মাধ্যমগুলির ‘ভূমিকা’ প্রণয়নের ব্যাপারে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে নিশীথের হয়েই প্রচার শুরু বিজেপির বিক্ষুব্ধদের
তিনি বলেন, সংযত থাকার মানসিকতা সভ্য নাগরিক সমাজগুলির হলমার্ক স্বরুপ। এই মানসিকতা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে। নির্বাচন কমিশন নৈতিকতা বজায় রেখে সুষ্ঠ, অবাধ নির্বাচন পরিচালনায় অঙ্গিকারবদ্ধ জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা রিপোর্টে গত ৫ বছরে তৃণমূল সাংসদদের পারফরম্যান্স লজ্জাজনক
বিভ্রান্তি দূর করার ক্ষেত্রেও এই ধরনের গণমাধ্যমগুলির ভূমিকা উপেক্ষা করা যায় না। সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের উদ্দেশ্য পূরণে সোশ্যাল মিডিয়াগুলির অংশগ্রহণ নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে। রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে আগাম সংশাপত্র দেওয়া এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গ্রহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে ভরা তৃণমূলের তারকা তালিকা নির্বাচন কমিশনে
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে এই ধরনের মাধ্যমগুলির জন্য এক কার্যকরী ব্যবস্থা প্রণয়নের ওপরেও বৈঠকে জোর দেওয়া হয়। বৈঠকে ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন সহ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, গুগল, শেয়ার চ্যাট, টিকটক এবং বিগো টিভির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুনঃ ভোটের গানে বিপাকে বাবুল, কমিশনের হাতে টুইট অস্ত্র
বৈঠকে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি দিন দুয়েকের মধ্যেই নির্বাচনী নৈতিকতা বিধি কার্যকর করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে এই নিয়মবিধি কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ এ বিশেষভাবে নজরদারি চালান হচ্ছে। ভোটের সময় সোশ্যাল মিডিয়াতেও যে কড়া নজর থাকছে নির্বাচন কমিশনের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনের নতুন অ্যাপ সি ভিজিল, জনতার অভিযোগে ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।