নামেও ঘোটালা, শান্তি ও কল্যাণের হাত দিয়েই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, কিন্তু ‘রাঘববোয়াল’ কারা

350
নামেও ঘোটালা, শান্তি ও কল্যাণের হাতেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, 'রাঘববোয়াল' কারা
নামেও ঘোটালা, শান্তি ও কল্যাণের হাতেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, 'রাঘববোয়াল' কারা

নামেও ঘোটালা, শান্তি ও কল্যাণের হাত দিয়েই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি; কিন্তু ‘রাঘববোয়াল’ কারা? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। একজন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়; অন্যজন স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরামর্শদাতা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। পরে দুজনেই আবার শিক্ষক নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদের হাতেই ছিল; বাংলার হবু শিক্ষকদের ভাগ্য। তবে সিবিআই তদন্ত ও কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর দেখা যাচ্ছে; নাম কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদ হলেও, চরম দুর্নীতিতে ডুবে কল্যাণ ও শান্তি দুজনেই।

আদালতের নির্দেশের পর, বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে; মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। বারবার জেরা করা হচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। দুর্নীতির নথির খোঁজে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে ও একাধিক জায়গায় সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান চলেছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় মধ্যযুগীয় ব’র্বরতা, ন্যাড়া করা হল বাড়ির বউকে, লজ্জায় গ্রামছাড়া নি’র্যাতিতা

বৃহস্পতিবারই উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে গিয়ে; তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে তুলে এনে; পর্ষদের অফিসে জিজ্ঞসাবাদ করে সিবিআই। তবে এঁদের সবার মাথায় ছিলেন; তৎকালীন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাকেও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে; কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের চূড়ান্ত রিপোর্টে; স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। কাঠগড়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কমিশন ও পর্ষদের একাধিক কর্তার বিরুদ্ধে; শাস্তিমূলক-ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে বিচারপতি বাগ কমিটি।

আরও পড়ুনঃ লজ্জার অন্ধকারে ডুবল বাংলা, দেশকে চমকে দিয়ে রাজ্যের বিধানসভায় প্রতিদিন ‘ছাপ্পা ভোট’

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়; এসএসসির দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার ও সুকুমার সাহা; এসএসসির প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য; উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে; ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৮, ৪১৭, ৩৪ এবং ১২০ বি ধারায় এফএইআর রুজু করে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসএসসির আরও এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও; শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করে বাগ কমিটি।

তবে হাইকোর্ট আইনজীবীরা মনে করছেন; এই দুর্নীতি কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ফেঁসে আছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই অথৈ জলে পড়া অবস্থায়, তিনি কাকে জড়িয়ে ডুববেন; সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন