পাকিস্তানে নয়, খাস কলকাতায় হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ

3306
পাকিস্তানে নয়, খাস কলকাতায় হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ/The News বাংলা
পাকিস্তানে নয়, খাস কলকাতায় হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ/The News বাংলা (প্রতীকী ছবি)

পাকিস্তানে নয়, খোদ কলকাতাতে দুজন হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ইসলাম ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ উঠল দুই মুসলিম যুবকের বিরূদ্ধে। এই ঘটনাটি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে ডিজি বীরেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানান হয়েছে। রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রকে পাঠান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার চিঠি আসার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানে দুই হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছিল। সেই একই ঘটনা কি এবার ঘটল কলকাতাতেও? উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে দুই হিন্দু নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক মুসলিম ধর্মান্তর

দেখুন রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্র কে পাঠান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার চিঠিঃ

পাকিস্তানে নয়, খাস কলকাতায় হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ করার অভিযোগ/The News বাংলা

কি হয়েছিল ঘটনাঃ
১২ মার্চ জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা এক ভদ্রলোক জোড়াবাগান থানায় লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর দুই মেয়ে নিখোঁজ। এরা দুই বোন। একজন নাবালিকা এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের বাবা জানান যে দুই বোন নিখোঁজ। এই দুই বোনকে মুসলিম যুবকেরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু থানায় সেই অভিযোগ নেওয়া হয় নি বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে প্রতি মাসে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় ২৫ হিন্দু নাবালিকা

৩১ ষে মার্চ ফের জোড়াবাগান থানায় লিখিত আবেদন করেন তিনি। অনেক টালবাহানার পর এবার পুলিশ অভিযোগ (GD নং -৯৩৫) নেয় বলেই জানা গেছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয় নি বলেই অভিযোগ। ১১ মার্চ তাঁদের বাবা প্রকাশ্যে আনেন যে দুই বোন নিখোঁজ। এরপর তিনি জানতে পারেন স্থানীয় দুই মুসলিম যুবক শাহবাজ খান এবং আহমেদ খান তাঁর মেয়েদের নিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুনঃ অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার দুর্নীতিতে ইডির চার্জশিটে সনিয়া ঘনিষ্ঠ আহমেদ প্যাটেল

তিনি আরও জানান, “এই দুই যুবক প্রথম তাঁদের হিন্দু বলেই পরিচয় দিয়েছিল। এই ঘটনা জানার পর তিনি ওই দুই যুবকের বিরূদ্ধে জোড়াবাগান থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও এফআরআই দায়ের করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এটিকে অনেকেই প্রেমের ঘটনা বলেও মনে করছেন।

আরও পড়ুনঃ চিত্র পরিচালক ও লেখকদের পর ঘৃণার রাজনীতি নিয়ে সরব দেশের সেরা বিজ্ঞানীরা

পরে পুলিশ নাবালিকা ছোট বোনকে উদ্ধার করতে পেরেছে, বলেই জানা যায়। ছোট মেয়ের কাছ থেকে জানা যায়, ওই দুই মুসলিম যুবক ভয় দেখায় যে তাদের সঙ্গে না গেলে তাদের মা-বাবাকে খুন করবে। দুই বোন একরকম ভয় পেয়েই মুসলিম যুবকদের সঙ্গে যেতে রাজি হয়। মেয়েটি জানিয়েছে, এরপর তাদের মুসলিম ধর্মান্তকরণ করা হয় এবং দুই মুসলিম যুবককে বিয়ে করতেও বাধ্য করা হয়। তাদের বড়বাজার এলাকার ‘বড়ি মসজিদে’ ধর্মান্তর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন দেশের ২০০ জন লেখক

মেয়ে দুটির বাবা জানিয়েছেন, ছোট মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে দিলেও তার কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষা করেনি। শুধু তাই নয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো বা The Protection of Children from Sexual Offences(POCSO) ধারা যোগ করেনি পুলিশ। এরকরম নিরুপায় হয়ে গত ৩১ মার্চ জোড়াবাগান থানায় আর একবার লিখিত আবেদন জানান তিনি(GD নং -৯৩৫)। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছোট মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দিলেও বড় মেয়েকে পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি বলেই খবর। শহরের বুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হেলিকপ্টার পাচ্ছেন না মমতা, অভিযোগের তীর কেন্দ্রের দিকে

এই বিষয় নিয়ে, রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রকে পাঠান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তবে এই চিঠি নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এই চিঠি নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকেও এই নিয়ে কিছু মুখ খোলা হয় নি। অভিযোগ সত্যি হলে সেটা মারাত্মক ঘটনা। আর যদি মিথ্যা হয়, তাহলেও গুজব কি ভাবে ছড়াচ্ছে সেটাই কড়া নজর দেওয়া উচিত কলকাতা পুলিশের।

মেয়েদুটির বাবা রাজনৈতিক চক্রান্ত করে এই অভিযোগ করছে কিনা সেটাও প্রশ্ন। অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ না প্রেম- ভালবাসার গল্প, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। কিন্তু এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। তাই এই ব্যপারতা এখনও পরিষ্কার নয়।

আরও পড়ুনঃ অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে শুল্ক দফতরের সামনে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন