শ্রীলঙ্কায় অবশেষে নিষিদ্ধ করা হল হিজাব, নিকাব এবং বোরখা। মুখমন্ডলের আচ্ছাদন ঢাকা থাকে, এই ধরনের সমস্ত প্রকার পোষাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে, সুরক্ষার স্বার্থে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এই ব্যবস্থার কথাই জানানো হয়েছে।
কিন্তু কেন নিষিদ্ধ বোরখা? কিছুদিন আগেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যু হয় প্রায় ৩৭৫ জনের। ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন হামলার সাথে জড়িতদের ছবি প্রকাশ করে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এরপরেই ইসলামী জঙ্গিবাদ থেকে সতর্ক হতে বোরখা নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটে শ্রীলঙ্কা।
প্রাথমিক উদ্যোগে বোরখা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে, কারন অনেক সময়েই ঢাকা বোরখার আড়ালে জঙ্গিরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার রবিবারের জঙ্গি হামলায় কয়েকজন মহিলাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালান জঙ্গিদের প্রভাবিত করেছেন জাকির নায়েক
বোরখার আড়ালে যাতে জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে না পারে, তাই এই পোষাক নিষিদ্ধ করার কথা ভাবে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপলা সিরিসেনার সঙ্গে সোমবার মন্ত্রীসভার সদস্যদের সাথে বৈঠকে বোরখা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সমর্থন মেলে এবং অবশেষে নিষিদ্ধ হয়।
গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা সভায় অংশ নেয় সেদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা। ৩ টি গির্জায় এবং ৫ টি হোটেলে ধারাবাহিক বিষ্ফোরনে মৃত্যু হয় ৩৬ জন বিদেশী এবং ৫ জন ভারতীয় সহ মোট প্রায় ৩৭৫ জনের।
কিছুদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার বদলা নিতেই পাল্টা খ্রিষ্টানদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে ভিডিওবার্তায় দাবি করেছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠন।
আরও পড়ুনঃ শীঘ্রই আসছি ইনশাল্লাহ, বাংলায় পোস্টার ভয়ঙ্কর ইসলামিক স্টেটের
দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা তো বটেই, দক্ষিন এশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসে এতো বড় জঙ্গি হামলার নজির নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সন্ত্রাসবাদ রুখতে এর আগেও এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বহু দেশে সন্ত্রাসবাদ রুখতে বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে চাদ, ক্যামেরুন, গ্যাবন, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম ও চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ উল্লেখযোগ্য। এবার সন্ত্রাসবাদ রুখতে একই পথে হাঁটল শ্রীলঙ্কা। ভারতে কবে? প্রশ্ন উঠেছে আমজনতার মধ্যে।