মাঝে আর একটি মাত্র দিন; সপ্তম দফা নির্বাচনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন; তারপর ২৩শে মে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ; ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামী ৫ বছরের জন্য কাদের হাতে যেতে চলেছে কেন্দ্রের ক্ষমতা। তার আগেই রাহুলকে সরিয়ে; ইউপিএ মহাজোট সরকার গঠনে আসরে নামলেন সনিয়া নিজেই।
ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই মোদী বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে; ইউপিএ মহাজোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করে দিল কংগ্রেস। সরকার গড়তে দলের হাল ধরলেন সনিয়া গান্ধী। এবার লোকসভা নির্বাচনে আগাগোড়াই ফ্রন্ট সাইডে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ মানসিকতার, বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দলের প্রচার থেকে বিভিন্ন সম্মেলনে দলের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব ছিল মূলত তারই হাতে; বিগত ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোবলয়ের ৩ রাজ্যে বিজেপিকে ধাক্কা দেবার পরে রাহুলের দায়িত্বও অনেক বেড়ে যায়; হাতে গোনা নির্বাচনী সভা ছাড়া সনিয়া গান্ধীকে এবার সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি।
কিন্তু গত কয়েকমাসেই কংগ্রেসের অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে; দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দলের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ছাড়াও বহু কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে; বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে মাত্র ১০ দিনে কৃষিঋন মকুব করার কথা বললেও ক্ষমতায় এসে কৃষকদের কোনও দিশার আলো দেখাতে পারেনি কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার হবেন রাজীব কুমার
এদিকে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের; এই অবস্থায় কংগ্রেসের অবস্থা কিছুটা ব্যাকফুটে আন্দাজ করেই মহাজোটকে নিয়েই সরকার গড়তে মরিয়া কংগ্রেস; রাহুলকে সরিয়ে তাই ব্যাটন হাতে নিলেন সনিয়া।
জোট গঠনে ইউপিএ এবং র বাইরে থাকা দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। গতকালই কংগ্রেসের তরফে গুলাম নবী আজাদ জানিয়েছেন; কংগ্রেসের থেকেই প্রধানমন্ত্রী হবেন এরকম কোনও ব্যাপার নেই। তেলেঙ্গানায় টিআরএস এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাথে তিনি কথা বলেছেন।
আরও পড়ুনঃ বেকারদের ড্রাইভিং, চুল কাটার ট্রেনিং নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সাথে কথা বলেছেন জোটের ব্যাপারে। ইউপিএ মহাজোটের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলে; সবার আগে তারাই সরকার গড়ার দাবি জানাবেন বলেই সনিয়ার নেতৃত্বে এই তৎপরতা। কাদের ভাগ্যে শিকে ছেড়ে; তার জন্য অপেক্ষা ২৩শে মে পর্যন্ত।