“সামাজিক শিক্ষাগুরু বলেই মমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে”; ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক শিক্ষাগুরু”; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে বাংলার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদে বসানোর পক্ষে; এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার বিধানসভায় চন্দ্রিমা বলেন, “কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী একের পর এক প্রকল্প এনে; দেশকে পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রকল্প অনুকরণ করে; প্রকল্প করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সাদাসিধে জীবনযাপন ও হাওয়াই চটির প্রতি মানুষের সমর্থনল মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে বিজেপি’র”।
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক শিক্ষাগুরু”; মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যপদে বসানোর পক্ষে, এই মন্তব্য করলেন মমতারই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রশাসক হিসেবে তাঁর শিক্ষাই, কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করেছে; এমনটাই দাবি করে আচার্যপদে তিনিই যোগ্য বলে দাবি করেছেন চন্দ্রিমা। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে; আইন তৈরির প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, এই ব্যবস্থা করতে; বিধানসভায় বিল আনেন দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন; “গরু ছাগলে খেয়েছে ২২ লাখ টাকার গাছ”, তৃণমূল পঞ্চায়েতের দাবি শুনে হাসছে জনগণ
“আচার্য হলেন শিক্ষাগুরু; আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সামাজিক শিক্ষাগুরু”। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পেশ হওয়া, সংশোধনী বিলের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে; মঙ্গলবার বিধানসভায় একথাই বলেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এখানেই থামেননি তিনি, তাঁর আরও বক্তব্য; “কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্যসাথী, একের পর এক প্রকল্প এনে; দেশকে পথ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা”।
আরও পড়ুন; “মাথা উঁচু করে তৃণমূলকে ভোট দিন, মাথা নিচু করে আপনাদের হয়ে কাজ করব”, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিলের বিরোধিতায়, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে; দলতন্ত্রের অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। গোটা ব্যবস্থার রাজনীতিকরণের অভিযোগ করেন; বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, মুকুটমণি অধিকারী, অম্বিকা রায় প্রমুখেরা। এর জবাবে রাজ্যের চিকিৎসায় সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে; পাল্টা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অগ্রগতির দাবি করেন তৃণমূলের সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মল মাজি।
তারপরই বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন; “আচার্য অর্থ গুরু। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশাসনিক উদ্যোগ ও পদক্ষেপে; সামাজিক শিক্ষাগুরুর সেই ভূমিকাই পালন করেছেন। সামাজিক শিক্ষাগুরু হিসেবে; তিনিই হতে পারেন আচার্য”। বিধানসভায় এরও তীব্র প্রতিবাদ করেন; বিজেপি বিধায়করা।