কৃষ্ণা দাস, The News বাংলা, দার্জিলিংঃ পাইনের পাতায় পাতায় সাদা সাদা বরফ কুচিতে দারুণ জমে উঠেছে উত্তরের শীত। আপেক্ষা করছে শুধুই আপনার জন্য। আবহাওয়া দফতর যাই বলুক, লেপের তলায় ঢুকে না থেকে বেড়িয়েই পড়ুন উত্তরে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষিতদের বিধায়ক করল তেলাঙ্গানা, কবে শিখবে বাংলা
দক্ষিনী অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’-এর দাপটে দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে দিনভর বৃষ্টি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের গোটা পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে প্রচন্ড ঠান্ডার সঙ্গে তুষারপাত। সমতলেও হালকা মেঘাচ্ছন্নের সাথে রাত থেকে বিক্ষিপ্তভাবে ঝিড়ঝিরে বৃষ্টি। সমতলে তুষারপাত না হলেও মেঘ-বৃষ্টির খেলায় জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। সব মিলিয়ে মাঝ ডিসেম্বরে দার্জিলিং সহ গোটা উত্তরবঙ্গের হিমেল আবহাওয়া আক্ষরিক অর্থেই পর্যটকদের নেশা ধরিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শহীদ জওয়ানকে সম্মান নয়, সেনাকে পাথর ছুঁড়ে দেশদ্রোহীরাই ভারতে ‘নায়ক’
সোমবার রাত থেকেই শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝিরঝিরে বৃষ্টির পাশাপাশি ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। অন্যদিকে পাহাড়েও গোটা দিনভর মেঘাচ্ছন্ন এবং জায়গায় জায়গায় সামান্য তুষারপাত শুরু হয়। সোমবার গভীর রাত থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে সান্দাকফুতেও। রাত পেরিয়ে দিনেও তুষারপাত অব্যহত। খুশি পর্যটকরা।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে পুলিশ হত্যা ও অশান্তির ঘটনায় বিমল রোশনকে বাঁধল সিআইডি
গত ২৪ ঘন্টায় কখনও লাগাতার, আবার কখনও বিক্ষিপ্ত তুষারপাতের ফলে গোটা শহর জুড়ে প্রায় তিন-চার ইঞ্চি তুষার বা বরফ জমে গেছে। সিকিমের বেশ কিছু অঞ্চল সহ ভুটানেও সারাদিন ধরে তুষারপাত হয়েছে। সমতলের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ পাহাড় লাগোয়া জেলাগুলির তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও
দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অঞ্চলে তাপমাত্রা দিনের বেলায় ১০-১২ ডিগ্রী থাকলেও রাতে তা নেমে আসছে ৬-৭ ডিগ্রীতে। অন্যদিকে সমতলের শিলিগুড়িতে সর্বোচ্চ ১৬ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও যথাক্রমে ১৭/১২ ও ১৭/১২ডিগ্রীতে নেমে এসেছে। যা স্বাভাবিক হলেও এই সময়ে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতটা স্বাভাবিক নয়।
পাহাড়ে তুষারপাতের ফলে প্রায় একশ-র ওপর পর্যটক আটকে রয়েছেন সেখানে। সিকিমেও একই অবস্থা। তবে তাঁরা পাহাড়ের ঠাণ্ডা ও তুষারপাত উপভোগ করছেন। এদিকে সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি ও কনকনে ঠান্ডার জেরে কাঁপছে শিলিগুড়ি শহরবাসীও। সকাল থেকে শহরের মূল সড়কগুলিতে সাধারন মানুষের আনাগোনা কমই ছিল।
আরও পড়ুনঃ ‘ইন্দিরা গান্ধী ভারতে এমারজেন্সি লাগু করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’
দোকান, বাজার, মার্কেটগুলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। রাস্তাঘাট একপ্রকার ফাঁকাই ছিল। জায়গায় জায়গায় মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে জটলা বেধে আগুন পোহাতে দেখা গেছে দিনের বেলাতেও। গরম কাপড় এর পাশাপাশি ছাতা নিয়েও মানুষজনকে রাস্তায় দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ গোটা ভারতের পাশাপাশি বাংলাতেও উঠল কৃষি ঋণ মকুবের দাবি
সবমিলিয়ে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রকৃতঅর্থেই শীত যেন জমে উঠেছে। ভরা পৌষে শ্রাবনের বারিধারা, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, টিপটিপ বৃষ্টি আর তুষারপাতে জমে উঠছে উত্তরবঙ্গের শীত। পাইনের পাতায় পাতায় সাদা সাদা বরফ কুচিতে দারুণ জমে উঠেছে উত্তরের শীত। আপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প:
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা