শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের ইতিহাসে; প্রথমবার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায়; তিন দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত।
শনিবার; অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের ফার্স্ট কোর্টে; বিচারক দেবপ্রসাদ নাথের এজলাসে তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। আদালতের এই রায়ে খুশি মৃতদের পরিবার। যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
আরও পড়ুনঃ শীতের শুরুতেই কলকাতায় অ্যানাকোন্ডা
২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর; শিলিগুড়ি মহকুমার শিবমন্দির লেলিনপুরের বাসিন্দা; বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রদীপ বর্ধন; তার স্ত্রী দীপ্তি বর্ধন ও তাদের ছেলে প্রসেনজিৎ বর্ধন খুন হন। তিনজনকেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
ঘটনার পর প্রদীপ বর্ধনের মেয়ে রেশমি সেন মাটিকাটা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত নেমে মোবাইলের সূত্র ধরে তিনদিনের মাথায় ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তরা এতদিন জেলে বন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেট টিমের জার্সির রঙে নীল ও গেরুয়া, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
পেশায় কাঠমিস্ত্রি সহদেব বর্মন; দীপু সুত্রধর ও চিরঞ্জিত মোদকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।টানা তিন বছর মামলা চলার পর; গত বুধবার অভিযুক্ত তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক দেবপ্রসাদ নাথ। শনিবার তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
খুনের ঘটনার দেড়মাস আগে; প্রদীপবাবুর বাড়িতে কাঠের কাজ করেছিলেন এই তিনজন। স্বাভাবিকভাবে এরা পরিচিত হওয়ায় ঘটনার দিন রাতে এরা বাড়ি এলে কোনো রকম সন্দেহ ছাড়াই তাদের দরজা খুলে দিয়েছিলেন প্রদীপবাবু।
আরও পড়ুনঃ কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল উপ পুরপ্রধান সরাসরি অভিযোগ তুললেন পুরপ্রধান ও অভিষেকের দিকে
শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে ইতিহাসে; মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এই প্রথমবার শোনালেন কোন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে; এদিন বিচারক দোষীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন; নৃসংশভাবে খুন করার মত জঘন্যতম অপরাধ তারা করেছে; যার কোনো ক্ষমা নেই।
প্রদীপবাবুর মেয়ে জানান; আদালতের রায়ে তিনি খুশি। আদালত আজ এই রায় শুনিয়েছে; তাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটাতে গেলে দুবার ভাবতে হবে সবাইকে। দোষীদের পক্ষের আইবজীবী চন্দন দে বলেন; আমরা এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।