শরদ, ফারুখ, গোপাল, মমতার অনুরোধেও কেউ রাজি নন; ভরসা এখন তৃণমূল নেতা যশবন্ত। শরদ পাওয়ার, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, ফারুখ আবদুল্লা। না, কেউই রাজি হচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারা প্রার্থী হবেন; তা নিয়ে রাজধানীতে উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। আগামী ১৮ জুলাই দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন; কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনপক্ষই তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এরমধ্যেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হওয়ার নিয়ে, অনিচ্ছা প্রকাশ করে সরে দাঁড়ালেন; পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তার আগে বিরোধী শিবিরের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন; এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল; গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম।
গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঠিক করতে দিল্লিতে, দেশের ২২টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে; বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে অবিজেপি রাজ্যের ৮জন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে শরদ পাওয়ারের নাম; বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বৈঠক শেষে মমতা নিজেই জানান, শরদ পাওয়ার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন; তিনি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নন।
আরও পড়ুনঃ “অগ্নিবীরদের নিয়োগ করব আমার কোম্পানিতে”, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যেই ঘোষণা শিল্পপতির
তারপরই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, পাওয়ার রাজি না হওয়ায়; রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ফারুক আব্দুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন মমতা। গত শনিবার ফারুখ আবদুল্লাও; নিজের নাম সরিয়ে নেন। তারপরে সবার নজর ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রের উপরেই। কিন্তু এবার তিনিও নিজের নাম সরিয়ে নেওয়ায়; অকূল পাথারে বিরোধীরা।
রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী খুঁজতে; গা উজাড় হওয়ার জোগাড়। কে হবেন বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী? দিল্লিতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে; কংগ্রেস, বাম, আপ, তৃণমূল সহ একাধিক দলের। ওই বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জন্য; বিরোধী দলের পদপ্রার্থীর নামে শিলমোহর পড়ার কথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবিত সকলেই; একে একে সরে দাঁড়ানোয় সমস্যায় বিরোধী শিবির।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বৈঠকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহার নাম; প্রস্তাব করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার এই প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদে লড়াইয়ে; বিজেপি বিরোধী সবদল মেনে নেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।