স্কুলে ছুটি কত দিনের, নবান্নের ঘোষণায় গোটা বাংলার শিক্ষা জগতে আলোড়ন

1681
ছুটি কত দিনের, নবান্নের ঘোষণায় গোটা বাংলার শিক্ষা জগতে হইচই/The News বাংলা
ছুটি কত দিনের, নবান্নের ঘোষণায় গোটা বাংলার শিক্ষা জগতে হইচই/The News বাংলা

দানবীয় আকার নিয়ে সুপার সাইক্লোন ফনি; আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলায়। আর শুক্রবারের এই ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে; একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। শুক্রবার থেকেই ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্কুলে। বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আর সেই বিজ্ঞপ্তি পেয়েই বিভ্রান্ত গোটা বাংলার শিক্ষা সমাজ।

রাজ্যে ধেয়ে আসছে ফনি। যার জেরে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই গরমের ছুটি ঘোষণা করল স্কুল শিক্ষা দফতর। এমাসের ২০ তারিখ থেকে এই ছুটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফনির জন্য এগিয়ে আনা হল ছুটি। আগামিকাল থেকেই বন্ধ রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল। আইসিএসই ও সিবিএসই স্কুলগুলিকেও; ছুটি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের উন্মাদের মত গুলি বৃষ্টি, মৃত এক, জখম দুই

আর এই নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে হইচই। গরমের ছুটি কতদিন? নবান্ন থেকে ছুটির যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে; তাতে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মনিশ জৈন এর সই আছে। সেই নোটিশে বলা হয়েছে; ৩ রা মে থেকে ৩০ শে জুন সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ছুটি থাকবে।

এই নির্দেশ হাতে পাওয়ার পরই মাথায় হাত বাংলার সব স্কুলের টিচার ইন চার্জদের। দু মাস ছুটি। এও সম্ভব? কি করে দুমাস ছুটি ঘোষণা করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে নাতো?

আরও পড়ুনঃ ৪০ জন বিধায়কের ১ জনের নাম বলুন, ভাটপাড়ায় মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার

কেউ মনে করছেন এটাও ফেক নয়ত? চারিদিকেই তো ফেক সার্কুলারের ছড়াছড়ি। এটাও আসল তো? এই নিয়ে দার্জিলিং থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সবার প্রশ্ন। কেউ মনে করছেন ওটা হয়ত ৩০ মে হবে; ভুল করে ৩০ জুন করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে আবার বলা হয়েছে; দরকার পরলে ছুটি কমিয়ে দেওয়া হতে পারে।

তাহলে কি আপাতত ৩০ শে জুন অব্দিই ছুটি? প্রশ গোটা রাজ্যের সব স্কুলে। সমস্যায় পড়েছেন টিচার ইন চার্জ রাও। তাদের ভূমিকা কি হবে? গতবছর অত্যধিক গরমের কারণে গরমের ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু টিচার ইন চার্জ ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে হাজিরা দিতে আসতে হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ পঞ্চম দফার ভোটে নির্বাচন কমিশনের চিন্তার ও মাথাব্যাথার কারণ বাংলার কোন লোকসভা

এবার কি হবে তা পরিষ্কার করে জানান হয় নি। সবমিলিয়ে নবান্নের নোটিশ পেয়ে ঘুম উড়েছে রাজ্যের সব স্কুলের টিচার ইন চার্জ ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

উপকূল লাগোয়া এলাকায় যেখানে ফণির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে; সেখানে ছুটি দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার খাতিরে। আর যেখানে সতর্কতা নেই; সেখানে এই ছুটি বর্ধিত গরমের ছুটি হিসাবে ধরা হবে। অর্থাত্‍ সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে কাল থেকেই গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে শেষের দিকে ছুটি মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন