যোগীর রাজ্যে স্বস্তি মানুষের, ধর্মীয় স্থান থেকে খোলা হচ্ছে হাজার হাজার লাউডস্পিকার

303
ধর্মীয় স্থান বলে প্রাধান্য নয়, যা কেউ পারবে না তাই করে দেখালেন যোগী
ধর্মীয় স্থান বলে প্রাধান্য নয়, যা কেউ পারবে না তাই করে দেখালেন যোগী

যোগীর রাজ্যে স্বস্তি মানুষের; ধর্মীয় স্থান থেকে খোলা হচ্ছে হাজার হাজার লাউডস্পিকার। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে; ১০৯২৩টি ​​অননুমোদিত লাউডস্পিকার সরিয়ে নিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পরেই এমন পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের ৩৫২২১টি জায়গায় লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রাও কমানো হয়েছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব জায়গায় লাউডস্পিকারের আওয়াজ শব্দসীমা অতিক্রম করেছে; সেই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে সরকার।

সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেন; “মানুষজন নিজেরাই লাউডস্পিকার সরাতে সহযোগিতা করছে এবং নিজেরাই সরিয়েও দিচ্ছে; এই অভিযান চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত”। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রা কমিয়ে; নির্দিষ্ট মানের করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘শব্দ যেন ধর্মীয় প্রাঙ্গণের ভেতরেই থাকে; তাতে অন্য কারও যেন অসুবিধা না হয়’।

যে লাউডস্পিকারগুলি জেলা প্রশাসনের যথাযথ অনুমতি ছাড়াই; ইনস্টল করা হয়েছে বা অনুমোদিত সংখ্যার বেশি ইনস্টল করা হয়েছে সেগুলিকে ‘অননুমোদিত’ ঘোষণা করে খুলে ফেলা হচ্ছে। লাউডস্পিকারের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনাও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা বৈঠকের সময়, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের দেওয়া নির্দেশিকাগুলির ভিত্তিতেই; পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এই নির্দেশের পরেই, পুলিশ আধিকারিকরা রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলি থেকে; লাউডস্পিকার সরিয়ে নেওয়া এবং শব্দ কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগ্রা অঞ্চলে ৩০টি অননুমোদিত লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে এবং ৯০৫টি জায়গায় শব্দের মাত্রা কমানো হয়েছে। মীরাটে শব্দসীমা কমানো হয়েছে ৫৯৭৬টি স্থানে; বরেলিতে ৬২৫৭টি স্থানে; লখনউতে ৬৪০০টি; কানপুরে ১৭১৩টি; প্রয়াগরাজে ১০৭৩টি; গোরখপুরে ২৭৬৭টি; বারাণসীতে ২৪১৭টি স্থানে; লখনউ কমিশনারেটের ১২৩৫টি; কানপুর কমিশনারেটে ৯৫টি; গৌতম বুদ্ধ নগরে ৪৬২টি এবং বারাণসী কমিশনারেটের ৩৭৪টি স্থানে।

এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন; “পুলিশ ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য; ৩৭৩৪৪ জন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে”। উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর, পুলিশকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে; একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিটি জেলার বিভাগীয় কমিশনাররা রিপোর্ট পাঠাবেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে; “অনুমতি নিয়ে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে; তবে তার শব্দ প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া যাবে না”। তিনি আরও বলেন; “লাউডস্পিকারের জন্য নতুন কোন অনুমতি দেওয়া হবে না”।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন