The News বাংলা: সিবিআই গ্রেফতার করবে সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডাইরেক্টরকে। ঘুষ কান্ডে সিবিআই নাম্বার ২ রাকেশ অস্থানাকে জেরা করে তদন্ত করার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বহাল থাকল এফএইআর ও। এর ফলে রাকেশ আস্থানাকে গ্রেফতার করতে আর বাধা রইল না সিবিআই এর। আদালতের এই রায়ে মানুষের কাছে সিবিআই এর মান সম্মান, ভরসা আরও তলানিতে।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদী সরকারের ইচ্ছে বহাল, ফের অপসারিত সিবিআই প্রধান
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কাণ্ডের কোন ভিত্তি নেই, জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট এ যান সিবিআই স্পেশ্যাল ডাইরেক্টর রাকেশ অস্থানা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা এফআইআর বাতিল করার আর্জিও জানানো হয় আদালতে।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরি সেই আবেদন খারিজ করে ১০ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। বহাল রাখা হয়েছে এফআইআর ও। এর ফলে ঘুষ কান্ডে রাকেশ আস্থানাকে গ্রেফতার করতেই পারে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ
ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে
ডাইরেক্টর অলোক বর্মার পর, সিবিআই-এর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তা রাকেশ আস্থানার নাম আগেই জড়িয়েছে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে। আস্থানার অধীনে থাকা তদন্তকারী ডেপুটি এসপি দেবেন্দ্র কুমারকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। রাকেশ আস্থানার কাছ থেকে তাঁর হেফাজতে থাকা মোবাইল ফোন এবং মেসেজ সংরক্ষণের ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি আগেই আদায় করে নেয় আদালত।
দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই-এর এফআইআরে নাম রয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, র-এর কর্তা সামন্ত কুমার গোয়েলেরও। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। মঈন কুরেশি দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের দায়িত্বে ছিলেন রাকেশ আস্থানা। সেই তদন্তের সময়েই এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আস্থানা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিবিআই তদন্তাধীন একটি মামলা থেকে সানা সতীশের নাম বাদ দেওয়ার বিনিময়ে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি। এবং সানা সতীশ জানিয়েছেন, টাকা নেওয়ার পরেও মামলা থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। এ ছাড়া মইন কুরেশি দুর্নীতি কাণ্ডেও বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে থাকা রাকেশ আস্থানা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ
অশ্লীল গালাগাল দেবার জন্যই যুবককে নিজেদের ব্যক্তিগত গ্রুপে যোগ করেন নন্দিনী
প্রকাশ্যে গ্রুপ চ্যাট রেকর্ডিং, জেলাশাসকের স্ত্রীর ভাষাও সমান অশ্লীল
গত অক্টোবরেই সিবিআই এই দুর্নীতিতে এক নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে রাকেশ আস্থানার নাম ঘোষণা করে। সানা সতীশ স্বীকার করেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে একাধিক খেপে তিন কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল আস্থানাকে। মিথ্যে তথ্য প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন রাকেশ আস্থানার অধীনে থাকা সিবিআই আধিকারিক দেবেন্দ্র কুমার।
নিজের এবং সহকর্মী দেবেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ ও তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন রাকেশ আস্থানা। সেই মামলাতেই এফআইআর রেখেই তদন্ত শেষ করার রায় দিল দিল্লি আদালত।
আরও পড়ুনঃ
একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে
মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী
সিবিআইকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করে সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোনিয়া পুত্র টুইট করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চোখের মণি, সিবিআই-এর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিককে এবার ঘুষ নিতেও দেখা গেল। এই প্রধানমন্ত্রীর শাসনকালে সিবিআই একটি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অস্ত্র ছাড়া আর কিছুই না, এ প্রতিষ্ঠান এখন নিজেই নিজের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে’।
প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্থানা ১৯৮৪ সালের গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। ২০০২ এর গোধরা কাণ্ডে তদন্ত চালানোর লক্ষ্যে বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি আছে তাঁর। তবে দিল্লি আদালতের রায়ে এবার চরম সমস্যায় একসময়ের সিবিআই নাম্বার ২ রাকেশ আস্থানা।
আরও পড়ুনঃ
সুপ্রিম রথ জেতার অপেক্ষায় কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী, শিলিগুড়িতে অমিত শাহ
ঐতিহাসিক কুম্ভমেলা সম্পর্কে একনজরে সব কিছু জেনে নিন
কুম্ভমেলায় বিশ্বরেকর্ড গড়ল যোগীর রাজ্য, তৈরি হল আস্ত একটা শহর
মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।