The News বাংলাঃ ফ্রান্সে সরকারবিরোধী ‘ইয়েলো ভেস্ট’ গোষ্ঠীর বিক্ষোভে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় শনিবার আইফেল টাওয়ার বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে রাজধানী প্যারিসে সাঁজোয়া গাড়ি সহ দেশব্যাপী ৮৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ।
আরও পড়ুনঃ ‘পেলেই ছিঁড়ে খাবে’, কঠিন লড়াই করে বেঁচে ইরাকের নারীরা
পুলিশ এরই মাঝে বিক্ষোভ চলাকালীন রাজধানীর সজ-এলিজি এলাকার দোকানপাট ও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে। বেশ কিছু জাদুঘরও একই কারণে বন্ধ রাখা হবে।
বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গা পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স সরকার। গত শনিবার দাঙ্গায় তিন ব্যক্তি নিহত হন। জ্বালানি তেলের কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথমে ওই দাঙ্গা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে সরকার কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও অন্য দাবি তুলে দাঙ্গা চালিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুনঃ জেল হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
উগ্র ডান ও বামপন্থীদের চলমান দাঙ্গায় প্যারিসে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবং সরকার এটি মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটির অভ্যন্তরীণমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ খিদের জ্বালায় কান্না ভুলেছে ৫০ লাখ শিশু
আইফেল টাওয়ারের পরিচালক জানিয়েছেন, দাঙ্গাকারীদের সহিংস প্রতিবাদের ফলে শনিবার আইফেল টাওয়ারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সজ-এলিজিতে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আর্ক দে ত্রিওম্ফ’ আক্রান্ত হওয়ায় অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় তারা বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।
যেসব স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে সেগুলোর মধ্যে ল্যুভর ও ওর্সে জাদুঘর, অপেরা হাউস ও গ্র্যান্ড প্যালে কমপ্লেক্স আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক রিয়েস্তার।
আরও পড়ুনঃ খিদের জ্বালায় কান্না ভুলেছে ৫০ লাখ শিশু
শুধু তাই নয়, শনিবার বেশ কিছু ফুটবল ম্যাচও স্থগিত করা হয়েছে। ফ্রান্সভিত্তিক রেডিও স্টেশন আরটিএলকে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা যেহেতু আছে, আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে পারি না’।
এর ফলে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পাবেন না পর্যটকরা। ফ্রান্সে সরকারবিরোধী এই ধরণের আন্দোলন অনেক বছর পরেই দেখছে দেশের মানুষ। দেশবাসীর পাশাপাশি চরম সমস্যায় পড়েছেন বিদেশী পর্যটকরা। তবে, সাধারণ মানুষের সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে সরকার বিরোধী এই
বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রতি।