ভোটের প্রচারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নতুন চমক। দলের প্রচারে নৌকা যাত্রা শুরু করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রচার অভিযানে নতুন চমক আনতে ১৪০ কিলোমিটার নৌকা যাত্রা শুরু করলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
গতকাল সোমবারই ভারতের প্রয়াগরাজ শহরের মানাইয়া ঘাট থেকে তিন দিনের নৌযাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। ভোট টানতে এই প্রয়াসে চোখ টেনেছেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফের মোদী, ভোটের আগেই জানাচ্ছে সাট্টাবাজার
এই নৌযাত্রার জন্য গত রবিবার রাতেই প্রয়াগরাজের ইন্দিরা স্মৃতিবিজড়িত স্বরাজ ভবনে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানেই রাত কাটান তিনি। সোমবার সকালে প্রিয়াঙ্কা টুইট করেন, ‘স্বরাজ ভবনে বসে ঠাকুরমার (ইন্দিরা গান্ধী) কক্ষটি দেখেছি।’ এ কক্ষেই তাঁর জন্ম হয়।
আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
এর পরেই স্মৃতি রোমন্থন করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘কত রাত জোয়ান অব আর্কের গল্প শুনে ঠাকুরমা আমাকে ঘুম পাড়িয়েছেন। এখনও যেন সেই সুর আমার অন্তরে বাজছে।’ প্রিয়াঙ্কা আরও লেখেন, ‘ঠাকুরমা আমাকে বলতেন, ভয় পেয় না। একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
বলা যায় ভোট যুদ্ধে নেমে সেই ইন্দিরা গান্ধীর শরণাপন্ন হলেন নাতনি প্রিয়াঙ্কা। এমনিতেই তাঁকে ইন্দিরার উত্তরসূরি বলেই দেখতে চান কংগ্রেস নেতারা। অনেকেই ভাই রাহুলের চেয়ে বোন প্রিয়ঙ্কাতেই বেশি আস্থা রাখেন। এবার ভোট যুদ্ধে নেমে ঠাকুরমা ইন্দিরাকেই স্মরণ করলেন নাতনি প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সঙ্গে সবাই চৌকিদার, অদ্ভুত প্রচার বিজেপির
সোমবার শুরু করা নৌযাত্রায় একাধিক জায়গায় গিয়ে থামবেন প্রিয়াঙ্কা। গঙ্গার ধারে বাস করেন এমন মানুষদের সঙ্গে কথা বলে লোকসভা নির্বাচনে সমর্থন চাইবেন তিনি, এমনটাই ঠিক হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা নিজেই এই পরিকল্পনা করেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়ায় অনাস্থা, তৃণমূল বনাম বিজেপির জমজমাট লড়াই
গতকাল নৌপথে প্রিয়াঙ্কার যাত্রা শুরুর পর তাঁর জলযান যত এগোতে থাকে, ততই নদীর ধারে মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা যায়। ভিড়ের মধ্যেই নৌকা থামিয়ে গঙ্গার আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। জানতে চান, তাঁরা কেমন আছেন?
গতকাল নৌযাত্রার আগে দিনের শুরুতেই প্রয়াগরাজে হনুমান মন্দিরে পূজা করতে যান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের পর ভারতের অংশ হবে পাকিস্তান, ঘোষণা আরএসএস নেতার
পূজা শেষে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘মা গঙ্গা উদার।’ এই নৌযাত্রার আগে এক খোলা চিঠিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ‘গঙ্গা নদী সত্য ও সাম্যের প্রতীক। এই নদী ভারতের সংস্কৃতির পরিচায়কও বটে। এই গঙ্গা নদী মানুষে মানুষে বিভাজনের বার্তা দেয় না। গঙ্গা উত্তর প্রদেশের মানুষের বেঁচে থাকার রসদ। সেই গঙ্গা হয়েই আমি সবার কাছে পৌঁছে যাব।’
যাত্রা শুরুর পর একে একে দমদমা ঘাট, সিরসা ঘাট, লক্ষ্মগ্রহ ঘাট এবং বিকেলে ভদোহী ঘাটে থামেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার এই নদীপথের প্রচার অভিযান শেষ হবে বারাণসী ঘাটে গিয়ে। মূলত লোকসভা ভোটে প্রচারে নতুন চমক আনতেই প্রিয়াঙ্কার এই নৌযাত্রা।
আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের
আর তাছাড়া এর মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদীর গঙ্গা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি যে পূরণ হয়নি সেটাও বুঝিয়ে দিতে চান প্রিয়াঙ্কা। তবে উত্তর প্রদেশে গঙ্গায় নৌকা ভাসিয়ে প্রিয়াঙ্কার এই প্রচারে চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবিরও। লোকসভা ভোটে যোগীর রাজ্যে মোদীকে কতটা ধাক্কা প্রিয়াঙ্কা দিতে পারেন তার উপর নির্ভর করবে দেশে কংগ্রেসের ফলাফল।
আরও পড়ুনঃ মমতা কি পাকিস্তানের কণ্ঠ, বিতর্কিত প্রশ্ন নিৰ্মলার
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।