আগামী তিন বছরের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই ঘোষণা কীসের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ কয়েকটি দেশ এর ব্যাখ্যা চেয়েছে। একই সঙ্গে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত কৃষি নীতি নিয়েও জানতে চেয়েছে ডব্লিউটিও’র সদস্যরা।
২০১৬ সালে মোদি সরকার; প্রথমবার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা তোলেন। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে; কৃষক সমস্যাই ছিল অন্যতম প্রধান ইস্যু। একপ্রকার চাপে পড়েই এমপি-কিষান প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। যার অধীনে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি কৃষককে; ৬ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার কথা ঠিক হয়।
আরও পড়ুনঃ শিল্পাঞ্চলের ৫ টি পুরসভাই তৃণমূলের হাত থেকে কেড়ে নিল বিজেপি
যদিও মোদী সরকার কৃষিঋণ মাফ করার বিরোধিতা করে আসছিল। এর পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর ফসলবিমা পরিকল্পনা; সংস্কারের উপর মনোযোগী ছিল বিজেপি সরকার। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন খাতের ২৫ লাখ কোটি টাকা নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়েছে পাঁচ বছরে ওই খাতে; কীভাবে বরাদ্দ করা যাবে ১০০ লাখ কোটি টাকা।
বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি মোটেই মজবুত নয়। তবু কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশে কৃষকদের রোজগার; আগামী তিন বছরে দ্বিগুণ করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেটা কীভাবে সম্ভব হবে; ডব্লিউটিও-র বৈঠকে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ কয়েকটি দেশ।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানি নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ
শুধু ভারত নয়; খতিয়ে দেখা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৃষি নীতিও। বৈঠকে ইইউ-র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে; “বাড়তি কৃষি উৎপাদন কমাতে গোটা বিশ্বে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফসল উৎপাদনের সর্বোচ্চ মাত্রা; বিশ্বব্যপী বাজার মূল্যও নির্দিষ্ট; তাহলে এই নীতি কীভাবে প্রয়োগ সম্ভব?”
বৈঠকে আমেরিকার কৃষি নীতি নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছে ভারত; অস্ট্রেলিয়া; কানাডা; চীন; ইউরোপীয় ইউনিয়ন; নিউজিল্যান্ড ও ইউক্রেন। তেমনই বাসমতী ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিকে উৎসাহ দিতে ভারত যে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে; তা নিয়ে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া প্রশ্ন তুলেছে ডব্লিউটিও-র বৈঠকে।