প্রাথমিকে চাকরির নামে কোটি টাকা প্রতারণা; তৃণমূল উপপ্রধান ঠকালেন নিজের জামাইকেও। আর এই রাগে মেয়ে করলেন; থানায় অভিযোগ। প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে; বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে গ্রেফতার হলেন; তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান হেকমত আলি।
মঙ্গলবার রাতে মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান; হেকমত আলিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা মহম্মদ বদরুদ্দোজা নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে; গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা হেকমত আলিকে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন
বীরভূম পুলিশ সূত্রে খবর, উপপ্রধান হেকমত আলি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে; ২০১৯ সালে জুলাই মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীরভূমের কীর্ণাহার এলাকায় নিজের জামাই-সহ ১১ জনের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করে দেবেন বলে; প্রায় এক কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছিলেন বলেই অভিযোগ। পাঁচ চাকরি প্রার্থীকে, হেকমত আলি; ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিল বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও মন্ত্রীর মেয়ের চাকরি
“পারিবারিক বিবাদের ঘটনার জের হিসেবে; প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে বাবার বিরুদ্ধে”; এমনটাই দাবি করেছেন অভিযুক্তের মেয়ে। চাকরি দেওয়ার নামে ৮৩ লক্ষ টাকা টাকা আত্মসাতের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা; বলে দাবি করছেন হেকমত আলির মেয়ে জিন্নাতুন নিশা।
মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এনিয়ে জানাণ; “অভিযোগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে; তাকে পুলিশে অভিযোগ করতে বলেছিলাম; পুলিস তদন্ত শুরু করছে। অভিযুক্ত নেতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে”। বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি গোপাল চ্যাটার্জী বলেছেন; “তদন্ত করলে আরও অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম উঠে আসবে; যারা চাকরি দেবার নামে টাকা নিয়েছেন”।