কোনো রাজ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ না হওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিবিদ ও দলিত নেত্রী মায়াবতী। মায়াবতী তার রাজনৈতিক দল বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরই বিএসপির তরফে এই ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ফলে জোর ধাক্কা খেল বিজেপি বিরোধী মহাজোট।
আরও পড়ুনঃ মুনমুন সেনকে দাঁড় করিয়ে আসানসোলে কি বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়াকওভার দিলেন মমতা
বিএসপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে স্থির হয়েছে যে বিএসপি ভারতের কোন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী বোঝাপড়ায় যাবে না। বৈঠকে মায়াবতী জানিয়েছেন, বিএসপি ও সমাজবাদী পার্টির জোটটি সৎ উদ্দেশ্যে এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মিছিল মিটিং করতে মমতার পুলিশ প্রশাসন আর আটকাতে পারবে না বিজেপিকে
তিনি আরও জানান , এটিই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে প্রথম এবং পরিপূর্ণ জোট। যারা কিনা সামাজিক পরিবর্তনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম ও বিজেপিকে পরাজিত করার ক্ষমতা রাখে।
বিএসপি এর তরফে দাবি করা হয়, অনেক রাজনৈতিক দলই বিএসপির সঙ্গে হাত মেলাতে আগ্রহী। কিন্তু সংকীর্ণ নির্বাচনী সফলতা পেতে মায়াবতী এমন কিছু করবেন না, যা দলের স্বার্থবিরোধী।
আরও পড়ুনঃ প্রচুর চমক, রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২জন প্রার্থী কে কে
আগামী এপ্রিলে হতে চলা লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপিকে পরাজিত করতে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে বাদ দিয়ে জোটবদ্ধ হয়েছে বিএসপি ও সমাজবাদী পার্টি। মায়াবতীর ভেটোর মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হলো যে বিএসপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির লোকসভা প্রার্থী হচ্ছেন কিনা জানাবেন বৈশাখী শোভন
মায়াবতী জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ না হওয়ার কারণ হলো, আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে দেখা গেছে, কংগ্রেস তাদের ভোট বিএসপির পক্ষে প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত জানুয়ারিতেই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন মায়াবতী। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার কোনো সুবিধা আমরা দেখছি না’।
আরও পড়ুনঃ সমস্ত তর্জন গর্জন সার, তৃণমূলের বাতিল সাংসদকে দলে নিয়ে মুখ রক্ষা মুকুলের
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। যদিও এই নির্বাচনে জোটের ভরাডুবি হয়। আর তাই কংগ্রেসের বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব আছেন অখিলেশ।
আরও পড়ুনঃ লাস্যময়ী নুসরত ও সুন্দরী মিমিই এবার মমতার চমক
দুই দলের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উভয় দলই ৩৮টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাকি দুটি আসন তারা কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দেবেন। এ দুটি আসন হলো কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি আমেথি ও রায়বেরেলি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের এই দুটি আসনেই জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে
গত বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আলোচনায় বসেছিলেন মায়াবতী। আলোচনায় ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেসের প্রতি বেজার তিনি।
এই ঘোষণার পর উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানেও কোন মহাজোট হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এর ফলে বিজেপি বিরোধী মহাজোট জোর ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।