ভোটের আগে বিরোধীদের ম্যসেজ। আর তাতেই শোরগোল পরে গেল জাতীয় রাজনীতিতে। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক এবং অভিনেতা–অভিনেত্রীদের একটিই টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। শুরুটা কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দিয়ে। তারপর বিরাট কোহলি, রণবীর সিং, ভিকি কৌশল–সহ আরও অনেকে রয়েছেন। একমাস বাদেই ভোট। তাই নিজেকে সবার সামনে ধরে রাখতেই এই টুইট কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতাদের মানসিক রুগী বলে কটাক্ষ মমতার
লোকসভা ভোট অবাধ ও স্বতঃস্ফূর্ত করার জন্য বিরোধীদের উদ্দেশে ট্যুইট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখলেন আরও বেশি সংখ্যক ভোটারকে উৎসাহ দিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। প্রথম ট্যুইটে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ও ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনকে ট্যাগ করেন মোদী। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, লোকসভা নির্বাচনে যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নিতে পারেন সে ব্যাপারে উৎসাহ দিন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ৪২টি কেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর ঘোষনার দাবি বিজেপির
পরের ট্যুইটে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুকে ট্যাগ করে একই বার্তা দেন মোদী। এরপর বেশ কয়েকটি ট্যুইটে দেশের সেলিব্রিটি অভিনেতা থেকে প্রযোজক, খেলোয়াড় থেকে শিল্পপতি, যোগগুরু থেকে বিশিষ্ট সমাজকর্মী, সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ও অন্যদের ভোটদানে উৎসাহিত করার আবেদন রাখেন মোদী।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রহস্য রাখলেন ডিপ্লোম্যাটিক সুন্দরী বৈশাখী
টুইটে আর কি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের অনেকেই আপনাদের অনুগামী। এটাই উপযুক্ত সময় আপনাদের বলার জন্য। আমাদের সময় এসে গিয়েছে। তাই এই সময়ে চূড়ান্ত জোশ নিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটাই গণতন্ত্রের বড় কাঠামো’। এই টুইটের মধ্য দিয়ে দুটি বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক, সবাই যাতে ভোট দিতে আসেন তার প্রচার করতে। দুই, নতুন প্রজন্মের ভোট দান অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে না লাগিয়ে আর ফেলে রাখা যাবে না
তিনি এই টুইটটি প্রথম করেন তাঁর বিরোধী সাতজন রাজনীতিবিদকে। যাঁরা এই লোকসভা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা হলেন, রাহুল গান্ধী, মমতা ব্যানার্জি, শরদ পাওয়ার, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং এমকে স্ট্যালিন। জাতীয় রাজনীতিতে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এখন নরেন্দ্র মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবার ক্ষমতা রাখেন।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে
তাই তাঁদেরকে আগে টুইট করেছেন মোদি বলে মনে করছেন অনেকে। পরের ট্যুইটে বাকি রাজনীতিবিদের ট্যাগ করেন মোদী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুকে ট্যাগ করে একই বার্তা দেন মোদী।
আরও পড়ুনঃ পুলিশে ভরসা নেই, একমাস আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও তিনি পৃথকভাবে টুইট করেছেন। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ভোট চলবে গোটা দেশে। তাই নিজের ব্যক্তিগত ইমেজকে তুলে ধরতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে খবর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমানকেও টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এই ভোট হল মানুষের আওয়াজকে শক্তিশালী করার পথ’।
আরও পড়ুনঃ উত্তর পূর্বে অসম গণ পরিষদের সাথে বিজেপির মহাজোট চূড়ান্ত
বলিউডের অভিনেতা দীপিকা পাড়ুকোন, অনুষ্কা শর্মা, রনবীর সিংহ, ভিকি কৌশল, বরুন ধওয়ান, আলিয়া ভাটের মতো তরুণ অভিনেতাদের নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, দেশের যুব সম্প্রদায়কে তাঁরা যেন ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি, অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেণ্ডুলকর, শাহরুখ খান, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, এ আর রহমানের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের কাছেও একই আবেদন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
আরও পড়ুনঃ মুনমুন সেনকে দাঁড় করিয়ে আসানসোলে কি বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়াকওভার দিলেন মমতা
আরও পড়ুনঃ সমস্ত তর্জন গর্জন সার, তৃণমূলের বাতিল সাংসদকে দলে নিয়ে মুখ রক্ষা মুকুলের
আরও পড়ুনঃ লাস্যময়ী নুসরত ও সুন্দরী মিমিই এবার মমতার চমক
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।