ভারতে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেটসেবা চালু হয় ১৯৯৫ সালে; অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি ১৯৮৮ সালের দিকেই ই-মেইল ব্যবহার করতেন; গত শনিবার হিন্দিভাষী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া মোদির সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়; ফেসবুক টুইটারে মোদিকে নিয়ে নানান হাস্যকর খিল্লি শুরু হয়েছে; সমালোচকদের মধ্যে রাজনীতিবিদ; অর্থনীতিবিদ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আছে সাধারণ জনগন।
আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ভবিষ্যৎবানী করে বরখাস্ত কলেজ অধ্যাপক
সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন 1987-88 সালে আমি প্রথমে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছি; এবং সেই সময়ে খুব কম সংখ্যক লোকের ইমেল ছিল; এল কে আদবানির একটি সমাবেশে আমি আমার ক্যামেরাতে তার একটি ছবি ক্লিক করেছিলাম; তারপর আমি ছবিটি ই-মেল করে দিল্লীতে প্রেরণ করি; এবং ছবিটি পরবর্তী দিনে প্রকাশিত হয়; আদভানি বিস্মিত হয়েছিলেন।
এই কথা প্রকাশ হবার পরেই কেউ কেউ মোদিকে আখ্যায়িত করেছেন অবিশ্বাস্য রকমের মিথ্যাবাদী বলে; আবার কেউ বলছেন জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন তিনি; জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আর বিশ্বাস করা যায় না বলেও মন্তব্য এসেছে।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহ এর রোড শো ঘিরে গেরুয়া সমুদ্রে ভাসল উত্তর ও মধ্য কলকাতা
অর্থনীতিবিদ রুপা সুব্রামানিয়া টুইটারে লিখেছেন; ওই সময় বিদেশেও মাত্র কিছু সংখ্যক লোক ই-মেইল ব্যবহার করতেন; অথচ ১৯৯৫ সালে ভারতে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট সেবা চালুর আগে ১৯৮৮ সালেই মোদি কি ভাবে ই-মেইল ব্যবহার করতেন!
কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক সিংভি বলেন; দেশের প্রধান চৌকিদার নিজেই বলেছেন যে তিনি রাজীব গান্ধীর আমলে ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ই-মেইল ব্যবহার করেছেন; তারপর কি করে তিনি দাবি করেন যে কংগ্রেসের আমলে কিছুই হয়নি!
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহ এর রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর
পণ্ডিত অশোক সোয়ান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বলেছেন; মোদি গুরুতর অসুখে ভুগছেন; তাঁর যথাযথ চিকিৎসা দরকার; বটমলাইনসম্যান নামের এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়; এই মানুষটি (মোদি) অসম্ভব মিথ্যাবাদী; ১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা; ১৯৮৮ সালে মুম্বাইয়ে ই-মেইল করেছিলেন; যা মনে আসছে তাই বলছেন।