আবার গণপিটুনির শিকার মুসলিম যুবক। অসমের পর এবার ঝাড়খণ্ডে। চোর সন্দেহে এক মুসলিম যুবককে; পিটিয়ে খুন করল উত্তেজিত জনতা। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে; ১৮ ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয় ওই যুবককে। বিজেপি শাসনে গণপিটুনির কারণে; এই নিয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হল ঝাড়খণ্ডে।
গণপিটুনির সময়, জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে; বাধ্য করা হয় বলেই অভিযোগ। অভিযোগ অত্যাধিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে; মারা যায় ২৪ বছরের তবরেজ আনসারি। ঝাড়খণ্ডের খারসাওয়ানে ঘটেছে এই শিউরে ওঠা ঘটনা। গণপিটুনির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যে।
আরও পড়ুন পাকিস্তান সেনা হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত মাসুদ আজহার
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে; এক ব্যক্তি তবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে মারছে। আক্রান্ত যুবক হাত জোড় করে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছে। তারপরও তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। অন্য ভিডিওতে দেখা গিয়েছে; জোর করে তবরেজকে বলানো হচ্ছে; ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় হনুমান’।
আরও পড়ুন আপনার বাচ্চার মন বুঝতে, তার হাতের লেখা দেখান হস্তরেখাবিদকে
জানা গিয়েছে; পুনেতে দিনমজুরের কাজ করত তবরেজ। ঈদে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে সে গ্রামে গিয়েছিল। এই সময় তাঁর বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। ওইদিন দুই ব্যক্তির সঙ্গে জামশেদপুর রওনা দেয় সে। তাদের উদ্দেশ্য জানত না তবরেজ। ওই দুই ব্যক্তি সুযোগ বুঝে পালিয়ে গেলেও; উত্তেজিত জনতা ধরে ফেলে তবরেজকে। তারপরই শুরু হয় বেধড়ক মার।
আরও পড়ুন বাম আমলে ইভিএম, রাম আমলে ব্যালটের দাবিতে সংসদে ধর্নায় তৃণমূল
বৃহস্পতিবার তবরেজকে পেটানোর পর; পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন থেকে সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়; শনিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির আগেই তার মৃত্যু হয়েছে; বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত পাপ্পু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন তিন নাবালক সহ মোট ছয়জন মিলে লাগাতার গণধর্ষণ নাবালিকাকে
তবরেজের পরিবার থেকে; পুলিশকে দায়ী করা হয়েছে এই মৃত্যুর জন্য। তাঁরা বলেন; পুলিশের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যু। সঠিক চিকিৎসাও পাননি তবরেজ; বলে অভিযোগ করেন তাঁর পরিবার। মুসলিম যুবকের পরিজনদের সঙ্গে; দুর্ব্যবহারের অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।