শেষ পর্যন্ত মমতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মোদী, একমঞ্চে সামনাসামনি বিতর্কে বসছেন মমতা-মোদী। কোথায় কবে এই বিতর্ক হবে, তা ঠিক করবে তৃণমূল বিজেপি দুই দল। তবে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের তরফ থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কলকাতা বা দিল্লি যেখানে খুশি হতে পারে এই প্রকাশ্য বিতর্ক। তবে সম্ভবত কলকাতায় হতে পারে এই চাঞ্চল্যকারি বিতর্ক। মোদী মমতার এই হাই টিআরপি বিতর্ক, সরাসরি কে দেখাবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে দর কষাকষি।
একমঞ্চে মোদীর সঙ্গে সঙ্গে সামনা সামনি বিতর্কে বসছেন মমতা। থাকবেন আমজনতাও। তাঁরাও প্রশ্ন করতে পারবেন দুই নেতাকেই। কলকাতা না দিল্লী কবে কোথায় এই বিতর্ক হবে সেটাই এখন ঠিক করছেন দুই দলের নেতারা। তারিখও ঠিক করছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষকেও এই বিতর্কে কি ভাবে নেওয়া যায় সেই নিয়েও চলছে আলোচনা।
রবিবার চন্দ্রবাবু নাইডুর সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের মুখোমখি বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মমতা বললেন, “সাহস থাকলে সরাসরি বিতর্ক করুন। আমি রাজি। জনতার প্রশ্নের সম্মুখীন হব। আপনিও হোন”। আর এরপরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এরপরেই সোমবার মমতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন মোদী। বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূল কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “আপনারা ব্যবস্থা করুন নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে যাবেন”। দিল্লি বা কলকাতা যেখানে খুশি এই বিতর্ক হতে পারে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতার খুশি মত জায়গা বেছে নিয়ে তাদের জানাতে বলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
গত একমাস ধরেই বিভিন্ন প্রচার সভায় মোদীকে সামনাসামনি বিতর্কে বসার আমন্ত্রণ জানান মমতা। বিভিন্ন ইস্যুতে যে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভারতবাসির সামনে একেবারে চুপ করিয়ে দেবেন, সেটাই বলেছেন তিনি। এবার মমতার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মোদী। এটাই হতে চলেছে স্বাধীন ভারতে আমজনতার সামনে প্রথম সামনা সামনি ভোট বিতর্ক।
কি কি ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ করতে পারেন মমতা? শুরুতেই রাফাল ও বেকারদের চাকরি ইস্যু নিয়েই মোদীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করবেন মমতা। এমনটাই জানা যাচ্ছে। সেনাকে কাজে লাগিয়ে ভোটে সুবিধা নিয়েও প্রশ্ন করতে পারেন মমতা। মোদীর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি যে পূরণ হয় নি তা হিসাব দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরে তারপর প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে পারেন মোদীকে, এমনটাই তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে সারদা ও নারদা নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন করতে পারেন মোদী। বাংলায় শিল্প নেই কেন? উঠতে পারে প্রশ্ন মোদীর তরফ থেকে। মমতার পরিবর্তনের রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ কেন ভোট দিতে পারে নি, বিরোধীরা কেন প্রার্থী দিতে পারে নি, প্রশ্ন উঠবে মোদীর তরফ থেকে। সারদা ও নারদা কেসে মমতার মন্ত্রী নেতারা কত টাকা কামিয়েছেন, মোদীর তরফ থেকে উঠতে পারে প্রশ্ন।
তবে আমজনতা কি প্রশ্ন করবেন, সেই নিয়েই এখন চিন্তায় দুই প্রবল প্রতিপক্ষ। আমজনতার সব প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দেওয়া যাবে তো? এটাই এখন ভাবনায় রেখেছে মোদী ও মমতা দুজনকেই। চিন্তায় আছেন তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের নেতারাই। জনতা জনার্দনকে সামলাতে না পারলে এবারের ভোটে যে বিপদ আছে তা জানেন ভারতের দুই বিখ্যাত রাজনীতিবিদই। এখন দেখার এই অভাবনিয় বিতর্কে কি হয়!
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
The News বাংলার পাঠক ও দর্শকদের জানাই এপ্রিল ফুলস ডে। হাঁ, এটা নিছকই মজা ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখোমুখি বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ বারবার ছুড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা কিন্তু সত্যি। আর সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেই পারেন নরেন্দ্র মোদী। সেই দিন আর এটা ‘এপ্রিল ফুল’ থাকবে না। আমাদের জীবনে সত্য কখনও কখনও ‘এপ্রিল ফুল’ হয়ে যায়। একটা ‘এপ্রিল ফুল’ সত্য হবার অপেক্ষায় থাকতে দোষ কি? সব খবরে চোখ রাখতে The News বাংলা-র সঙ্গে থাকুন। এবার শেয়ার করে বাকিদেরও এপ্রিল ফুল বানান।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।