বিশাখাপত্তনমের সাগর নগরের; ইস্কন প্রাঙ্গন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়; প্রায় ১৯.৮ টন চাল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে; সরকারী বিভাগের কিছু কর্মকর্তা; হঠাৎই পৌঁছে যান ইস্কন দফতরে। প্রকাশ্যে আসে আটকে রাখা ১৯.৮ টন চাল।
মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য; সরকার থেকে দেওয়া চালের; গোপন রপ্তানির খবর পান বিভাগীয় কর্মীরা। সোমবার রাতে; তদন্ত চালিয়ে পায় ৩৯৬ টি ওষুধের বড় ব্যাগ। ওই ব্যাগের মধ্যেই; পাচার করা হচ্ছিল চাল।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান; লরিতে চালের ব্যাগ লোড করার সময়; তারা তাদের ধরেন। এরপর তারা বাড়ির ভেতর তল্লাশি চালায়। প্রায় ১১০টি ব্যাগ লোড করা হয়েছিল লরিতে। ওজন প্রায় ৫.৫ টন। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ৫.৯৪ লাখের কাছাকাছি হবে।
আরও পড়ুন: মুসলিম তোষণ না করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে খোলা চিঠি মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের
সিকিউরিটি ইন্সপেক্টর মল্লিকরাজুনা রাও জানান; “তদন্তের সময় লরির মালিক গাভারা এসওয়ার রাও ও তার সহকারী সানি জানায়; মিড ডে মিলের চালে প্যাকিং-এর পর কাকিনাদায় নিয়ে যাওয়া হত”।
বিভাগীয় কর্মকর্তারা ইস্কনের এক পুরোহিত; শ্যাম সুন্দর প্রিয়া দাসকে এই ঘটনার মাথা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ১১০টি চালের ব্যাগের পাশাপাশি; লরিতে আরও ২৮৬টি বাক্স পাওয়া যায়। যার মধ্যে; মিড ডে মিলের চাল থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড় দিতে চলেছে মোদী সরকার, রাষ্ট্রপতির ভাষণে ইঙ্গিত
মিঃ মল্লিকজুন রাও বলেন; “ইস্কন কিছু স্কুলের মিড ডে মিল সরবরাহ করে। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চ মাসের পর; স্টক রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। এমইও সহশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা; ফেব্রুয়ারির পর স্টকটির কোনো পরিদর্শন করেননি”।
প্রাথমিকভাবে পণ্য আইন ১৯৫৫-এর অধীনে একটি মামলা; জেলা কালেক্টর কোর্টে দাখিল করা হয়েছে। অতিরিক্ত বিষয় জানতে; আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে সরকার থেকে জানানো হয়। নজরদারিতে রাখা হয়েছে সমস্ত ঘটনাটিকে। তবে ইস্কনের মত সংস্থায়; এই ঘটনা ঘটায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশ।