জম্মু কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, এখন পর্যন্ত মৃত ১৮ জওয়ান, আহত প্রায় ১৫ জন। প্রথমে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি লক্ষ করে আইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তারপর ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। সিআরপিএফ কনভয়ের গাড়িটি টহল দিয়ে ফেরার সময় এই আক্রমণ হয়। অবন্তীপুরায় জাতীয় সড়কের উপরেই এই হামলা চলে।
কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালাল জঙ্গিরা। প্রথমে কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তারপর গাড়ি ঘিরে ধরে গুলিবৃষ্টি করতে থাকে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৫ জন জওয়ান। আহত হন অন্তত ১৮ জন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই আরও ৩ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। আহত বাকি ১৫ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। ফলে বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা।
জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। ২০০৪ সালের পর এতবড় হামলার ঘটনা ঘটল। জাতীয় সড়কের উপর এই হামলায় নড়েচড়ে বসেছে সব ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকালে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি টহল দিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীর ফিরছিল। সেই সময় কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে জঙ্গিদের একটি গাড়ি এসে জাতীয় সড়কের উপরেই এই হামলা চালায়। প্রথমে সিআরপিএফ কনভয়ের একটি গাড়ি লক্ষ করে আইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর ঝাঁকে ঝাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় গাড়িটি।
সিআরপিএফ এর ওই গাড়িতে প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান ছিলেন। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৫ জন জওয়ান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই আরও ৩ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। বাকিদের অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক। ফলে বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এটাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা বলেই দাবি করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ।