“১১ বছরে ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ দুর্নীতি, মানিক ভট্টাচার্যই চাকরি বিক্রির মাথা”, আদালতে এমনটাই জানাল ইডি। ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ দুর্নীতিতে, জড়িত মানিক ভট্টাচার্য, এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর, রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। তারপর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে।
মানিকের আমলে প্রাথমিকে, ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি ইডি-র। জেনেশুনেই মানিক বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার দুর্নীতির সঙ্গে, প্রতি ধাপে যুক্ত ছিলেন বলেও দাবি করা হয় ইডি-এ তরফে। চাকরি চুরি দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর, নির্দেশও দিতেন তিনিই। তাঁর পরিবারের সদস্যদের, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা হয়েছে।
আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেই সব পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির মাথা, এই মানিকই, এমনটাই অভিযোগ। ৫৮ হাজার নিয়োগেই দুর্নীতি, এমনটাই অভিযোগ।
ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বিভিন্ন জেলার নিয়োগকারীদের সঙ্গে, মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে মানিকের। প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়েও, চলেছে টেক্সট। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে রেখেই, এদিন মানিককে জেরা করে ইডি। এমনটাই ইডি সূত্রের খবর। পাশাপাশি, মানিকের মোবাইল ফোনে, হোয়াটস অ্যাপে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।