নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি খাইয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবেন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার

663
নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি খাইয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবেন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার/The News বাংলা
নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি খাইয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবেন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার/The News বাংলা

নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি খাইয়ে নরেন্দ্র মোদীর দাঁত ভাঙবেন, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতার। আর এর জেরেই ফের তরজা শুরু বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। মমতার নৃশংস মানসিকতা নিজেই প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির। হারার ভয়ে রাজনৈতিক সৌজন্য ভুলেছেন মোদী, পাল্টা দাবী তৃণমূলের।

সম্প্রতি টেলিভিশনে অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সাথে এক ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, মমতা দিদি প্রতি বছর তাঁকে কুর্তা ও রসগোল্লা পাঠান। তার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এরপর নুড়ি পাথর ভরা মাটির তৈরি রসগোল্লা পাঠাবেন, যা খেয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবে।

আরও পড়ুনঃ পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির করতে পারল না বিজেপি, রানীগঞ্জে বললেন মমতা

বুধবার বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, বছরে অন্তত একবারের জন্য হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জন্য কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান এবং প্রতি বছরেই মুখ্যমন্ত্রী সেটি করে থাকেন। তিনি আরও জানান মমতা দিদি নিজে পছন্দ করে তাঁর জন্য কুর্তা কেনেন।

বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কুর্তা ও মিষ্টি পাঠানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টিকে সৌজন্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপরেই আসরে নামে সিপিএম। মিষ্টি পাঠানোর বিষয়টিকে দিদি – মোদীর গোপন বোঝাপড়ার ফলাফল বলে কটাক্ষ নামে তারা।

আরও পড়ুনঃ টার্গেট মুর্শিদাবাদ, অধীরকে হারাতে বহরমপুরে ইমামদের নিয়ে সভা শুভেন্দুর

মাঝে একদিন যেতেই শুক্রবার উল্টো পথে গিয়ে বললেন, এবার শুধু মিষ্টি নয়, নুড়ি পাথর ভরা মাটির মিষ্টি পাঠাবেন তিনি, যা খেয়ে মোদীর দাঁত ভাঙবে। আর এই মন্তব্যের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। যে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করেন, তার মুখে এহেন মন্তব্য শুনে সমালোচনা করছেন তারা।

বুধবারের আলাপচারিতার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতি বছর বিশেষ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের স্পেশাল মিষ্টি পাঠান। তার পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টানেন তিনি। তারপরেই মিষ্টি নিয়ে বাংলা ও দিল্লির রাজনীতি জমজমাট আকার নিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অনুব্রত গড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে তিন হাজার কর্মী সমর্থক

সিপিএম ও কংগ্রেস দুদলই এটাকে দিদি – মোদী গোপন বোঝাপড়া বলে প্রচার করার চেষ্টা করে চলেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে এটাকে সৌজন্যের রাজনীতি বলেছে। তবে এই বিষয় এবার প্রকাশ্যে আসায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর তাই নিজের ইচ্ছা প্রকাশ্য জনসভায় প্রকাশ করে ফেললেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন