মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ১১ বছরে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ, পুরোটাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের নজরে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, একাধিক নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে যে দুটি মেধা-তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। গত ২০শে জুন আদালতে বেশ কিছু নথি পেশ করেছিল পর্ষদ। সেই নথি বৃহস্পতিবারের মধ্যে, দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ফলে তৃণমূল আমলে সব প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগই আসছে, কলকাতা হাইকোর্টের স্ক্যানারে। কয়েক হাজার শিক্ষক এবার এলেন, তদন্তের আওতায়। সবার মেধাতালিকা আদালতে পেশ করতে হবে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় বাঁক!
আরও পড়ুন; শিক্ষকতা পরে করবেন, আগে কাগজপত্র নিয়ে আদালতে আসুন, ‘দুর্নীতিবাজ শিক্ষক’দের নির্দেশ
২০১৬ ও ২০২০-র সম্পূর্ণ মেধাতালিকা পেশের নির্দেশ। রাজ্যকে এই দুই সম্পূর্ণ তালিকা, আগামী ১ সেপ্টেম্বর পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৫র ১১ অক্টোবর টেট হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম মেধা-তালিকা প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় মেধা-তালিকা।
সেই দ্বিতীয় মেধা-তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে, মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ আলি। তাঁর দাবি, দুর্নীতির জন্যই দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হয়েছিল। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ২৬৯ জনকে ইতিমধ্যেই, চাকরি থেকে বরখাস্তও করেছে হাইকোর্ট।