ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে মমতার পদযাত্রা, ডাকাই হয়নি নেপথ্যের নায়িকা তপতীকে

180
ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে মমতার পদযাত্রা, ডাকাই হয়নি নেপথ্যের নায়িকা তপতীকে
ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে মমতার পদযাত্রা, ডাকাই হয়নি নেপথ্যের নায়িকা তপতীকে

ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে মমতার পদযাত্রা, ডাকাই হয়নি নেপথ্যের নায়িকা তপতীকে, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। বাংলার দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি, তারই ধন্যবাদজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার সরকারি-ভাবে পদযাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে। কিন্তু যার গবেষণার জেরে, কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো-র স্বীকৃতি, কেউ চেনেই না বাংলার সেই মেয়ে তপতীকে। তাঁকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না? উঠেছে প্রশ্ন।

দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’, তপতীর কৃতিত্ব চু’রি গেল সংস্কৃতির বাংলায়। দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’র পিছনে, রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ভুমিকাই নেই। রাজনীতিতে এটিকে বলে, অন্যের কৃতিত্ব নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া। এর পিছনে যিনি আছেন, তাঁর নাম তপতী গুহ ঠাকুরতা। কলকাতার দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো-স্বীকৃতি’ পাওয়ায় পুরো কৃতিত্ব, গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতার। অথচ পুরো কৃতিত্ব নিয়ে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর ‘ইউনেস্কো স্বীকৃতি’, কৃতিত্ব তপতী গুহ ঠাকুরতা না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ইউনেস্কোর সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেন, গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা। ইউনেস্কোর ফর্ম-ফিলাপ থেকে দুর্গাপুজোর ভিডিও পাঠানো, মেল পাঠিয়ে সব জানানো, সবটাই করেছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিস ইন সোশ্যাল সায়েন্সের ডাইরেক্টর-প্রফেসর তপতী, তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রফেসরও ছিলেন।

২০০৩ সাল থেকে দুর্গা পুজো নিয়ে, গবেষণা শুরু করেন তপতী। তিনি ইউনেস্কোর ফর্ম ফিলাপ করেন, ২০টি ছবি ও ১টি ভিডিও দিয়ে। তারপরেই, আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পায়, কলকাতার দুর্গা-পুজো। যার পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তপতী গুহ ঠাকুরতার। আজ তিনি কোথাও নেই।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন