৪০ জন বিধায়কের ১ জনের নাম বলুন, ভাটপাড়ায় মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার

501
৪০ জন বিধায়কের ১ জনের নাম বলুন, ভাটপাড়ায় মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার/The News বাংলা
৪০ জন বিধায়কের ১ জনের নাম বলুন, ভাটপাড়ায় মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার/The News বাংলা

৪০ জন বিধায়কের ১ জনের নাম বলুন; ভাটপাড়ায় মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ মমতার। তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন; শ্রীরামপুরে এক জনসভায় সোমবার বলেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই বক্তব্যকেই বৃহস্পতিবার চ্যালেঞ্জ দিলেন মমতা।

তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন। ভোটের পরই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন; বলেই আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। আর মোদীর এই ঘোষণার পরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কোন ৪০ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন? প্রশ্ন উঠে গেছে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখেন, বললেন মোদী

তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক প্রতিদিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন; শ্রীরামপুরে এক জনসভায় সোমবার এই কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই বাংলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর ফিসফিসানি। কি বললেন নরেন্দ্র মোদী! যদি সত্যি হয়, কোন কোন তৃণমূল বিধায়ক মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন? উঠে গেছে প্রশ্ন।

আর এই বক্তব্যকেই এদিন চ্যালেঞ্জ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪০ জন নয়, ১ জন বিধায়কের নাম বলুন; দাবি করেন মমতা। তারপর নিজেই বলেন; যারা আসন পাবে বা সেই দু একজন গদ্দাররাই বিজেপিতে যাবে। এরপরেই অর্জুন সিংকে নাম না করে গদ্দার বলেন মমতা।

আরও পড়ুনঃ পঞ্চম দফার ভোটে নির্বাচন কমিশনের চিন্তার ও মাথাব্যাথার কারণ বাংলার কোন লোকসভা

ভোটের পরেই ১২০ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে; তৃতীয় দফার ভোটের পর বিস্ফোরক দাবী করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। লোকসভা ভোটে যে যে বিধানসভায় বিজেপি লিড পাবে সেখানকার বিধায়করা তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন বলেই দাবী ছিল মুকুল রায়ের।

সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরার পর ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন অর্জুন সিং এর মত দাপুটে নেতা। সব্যসাচী দত্ত ও অন্যান্য নেতাদের নিয়েও প্রতিদিন চলছে চর্চা। আর এর মধ্যেই মোদীর এই বিস্ফোরক ঘোষণা টলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই। শুরু হয়েছে ফিসফিসানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, “যারা যেতে চায় তারা যাক”।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের জেলা সভাপতি হবার যোগ্যতা নেই নরেন্দ্র মোদীর, দাবি মমতার

মুকুল রায়ের এই ঘোষণার পরে শোরগোল পরে যায় বাংলার রাজনীতিতে। হারার ভয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে মুকুল রায়ের, পাল্টা দাবী করেছিল তৃণমূল। তারপর মোদী সেই একই রকম দাবি তোলায় সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের মধ্যেই। সে সন্দেহকেই এদিন ছুঁড়ে ফেলে দেবার চেষ্টা করলেন মমতা, বলছে রাজনৈতিক মহল।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন