বড়সড় সাফল্য সেনাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ মাসুদ আজাহারের ভাইপো

667
Image Source: Google

The News বাংলা: দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল সেক্টরে সেনা-জঙ্গি দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ে নিহত হল মাসুদ আজাহারের এক ভাইপো। সূত্রের খবর, ত্রালে সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার শুরু হয়, আর সেখানেই সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের ভাইপো। পাশাপাশি সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে পুলওয়ামায় আরও ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর।

গত বৃহস্পতিবার রাতেই কাশ্মীরের ত্রাল সেক্টরে লুরগ্রামে ৪২ রাস্ট্রীয় রাইফেলস ক্যাম্পে জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। লুরগ্রামে ৪২ রাস্ট্রীয় রাইফেলস ক্যাম্পে জঙ্গি হানার ঠিক আগেই ৪ জন জঙ্গির সঙ্গে অনান্তনাগে গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সব হামলার পিছনেই লস্কর প্রধান মাসুদ আজাহারের পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে সেনা।

Image Source: Google

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা নাগাদ ২ জন জঙ্গি হানা দেয় লুরগ্রামে ৪২ রাস্ট্রীয় রাইফেলস ক্যাম্পে। জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান একজন সেপাই। আহত হন আরও একজন সেপাই। এনগমসিয়ামলিনা নামে ওই সেপাই ক্যাম্পের গার্ড ছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও পড়ুনঃ আসন্ন ভোটের কভারেজে গিয়ে মাও হামলায় দূরদর্শনের ক্যামেরাম্যান সহ মৃত তিন

জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলি মাথায় লাগে ওই সেপাইয়ের। এছাড়াও ক্যাম্পের আর এক গার্ড থাকে ধোনিটির গায়ে গুলি লাগে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই জঙ্গিদের সঙ্গে ৪২ রাস্ট্রীয় রাইফেলস ক্যাম্পে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল।

Image Source: Google

সেই ঘটনার মধুর প্রতিশোধ বলেই এই ঘটনাকে দেখা হচ্ছে। সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের নাম উসমান হায়দার, যে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের ভাইপো।

আরও পড়ুন: Breaking News: কাশ্মীরে ফের জঙ্গী হানা, গুলির লড়াই

উসমান হায়দার একজন স্নাইপার রাইফেল বিশেষজ্ঞ বলে খ্যাত। সেই গত কয়েকদিনের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় পুরোপুরি জড়িত ছিল বলেই জানিয়েছেন সেনা অধিকর্তারা।

ঘটনাস্থল থেকে একটি M-4 কার্বাইন রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের একটার পর একটা হামলায় এই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহৃত হয়েছে বলেই জানা গেছে।

Image Source: Google

এর আগে, ২০১৭ র নভেম্বরে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় জইশ নেতা মাসুদ আজাহারের আরেক ভাইপো। পুলওয়ামায় সেবার সেনার গুলিতে তালহা রশিদ, মহম্মদ ভাই এবং ওয়াসিম নামে তিন জঙ্গি নিহত হয়। এর মধ্যে তালহা রশিদ, মাসুদ আজাহারের ভাইপো ছিল।

আরও পড়ুন: রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, লড়াই পিছিয়ে গেল

গত সেপ্টেম্বর থেকে ত্রাল এরিয়াতে ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। সব হামলার পিছনেই ছিল মাসুদ আজাহারের ভাইপো উসমান হায়দার।

Image Source: Google

স্নাইপার স্পেশালিস্ট উসমান হায়দারের নিহত হবার পর জইশ-ই-মহম্মদ শিবিরে যে বড় ঝটকা লাগল তা বলাই যায়। এক বছরের মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদের ৫ টা বড় মাথাকে নিকেশ করল ভারতীয় সেনা। ভূস্বর্গে এটা সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন