লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। এরমধ্যেই গতকাল ১২ই মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ভোট জেতার মন্ত্রেই গুরুত্ব অমিত শাহের।
আরও পড়ুনঃ রমজান মাসে নির্বাচনে কোনও সমস্যা নেই, ববিকে পাল্টা দিলেন ওয়েসি
রাজ্যের অন্যান্য কোনও রাজনৈতিক দলই এখনও তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করেনি। এই মুহূর্তে খাতায় কলমে প্রধান বিরোধী না হলেও, রাজ্যের বিগত উপনির্বাচনগুলোর ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় স্তরের কিছু ভোটভিত্তিক সমীক্ষার ভিত্তিতে রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী দল বিজেপিই। আর তাই শুধু জেতার দিকেই নজর দিতে বলেছেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুনঃ গেরুয়া ভোটে থাবা বসাতে অধিকাংশ আসনেই ব্রাহ্মণ প্রার্থী ঘোষণা দলিত নেত্রী মায়াবতীর
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলোয় বিজেপি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছিলো। এবার তা আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তাই পূর্ব ভারত থেকেই বিজেপিকে আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে, যার অন্যতম লক্ষ্য ৪২ লোকসভা আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে
প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রথমে দলীয় আদর্শভিত্তিক প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৬ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা পায়নি তারা। উল্টে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে দেখা দিয়েছে তৃণমূলের ভোটব্যাংক প্রায় অক্ষুন্ন। ফলে তৃণমূল থেকে সাংসদ, বিধায়কদের ভাঙানোতেই গুরুত্ব দেয় বিজেপি।
ইতিমধ্যেই মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পরে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খান বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মমতাকে ‘মা’ বলে উল্লেখ করা ভারতী ঘোষও সামিল হয়েছেন বিজেপিতে। তৃণমূলের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি শঙ্কুদেব পান্ডাও ভিড়েছেন বিজেপিতে।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
গতকালই দিল্লিতে বিজেপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরা। তার সাথে মালদার হবিবপুরের ৩ বারের জয়ী সিপিএমের বিধায়ক খগেন মূর্মূ এবং বাগদার কংগ্রেসের বিধায়ক দুলালচন্দ্র ভরও বিজেপিতে যোগ দেন।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গি মাসুদ আজহারকে ‘মাসুদ আজহার জী’ বলে সম্বোধন করে বিতর্কে রাহুল
আর তারপরেই এভাবে অন্য দল থেকে বিজেপিতে নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। আর আন্দাজ পেয়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রার্থী বিচারে কেন্দ্রস্তরের মতামতই প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশে ভরসা নেই, একমাস আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
যে ব্যক্তি যেখানে শক্তিশালী, সেখানেই তাকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে গন্য হিবে না। আদর্শের চিন্তা পরে হবে, আপাতত জেতাই হবে মূল লক্ষ্য। আর সেই মন্ত্রেই দীক্ষিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।