মাটিয়া, মালদহ, হাঁসখালি, নামখানা, বোলপুর, পিংলা, নবদ্বীপ; রাজ্য জুড়ে একের পর এক নারী, নাবালিকা গণ’ধ-র্ষণ ও নি-র্যাতনের ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু কোথাও দেখা যায়নি তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। দেখা গিয়েছিল হাথরসে; কিন্তু দেখা যায়নি হাঁসখালিতে। এবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে; শুক্রবার দিল্লি যায় তৃণমূলের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। আর এরই চরম সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, শতাব্দী রায়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম; জাহাঙ্গিরপুরীর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্যে রাজধানী শহরে গেলেও; শেষ পর্যন্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছিল যেখানে সেখানে ঢুকতে পারল না তৃণমূলের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম! তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে; ‘আটকায়’ দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে; ওঠে তৃণমূলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ! তৃণমূলের এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের; সফরের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরেই তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দিল্লি যাওয়া নিয়ে; সরব হয় বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার থেকে শমীক ভট্টাচার্য; প্রত্যেকেই তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে কটাক্ষ করেন। শনিবার সকালে জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন; “রাজ্যে হিংসা বন্ধ করতে পারেন না; নাটক করতে ওখানে গেছেন। আসলে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন; ওঁরা এটাই চান”।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন; “বাংলার কোথাও যেতে পারল না তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম; তবে পৌঁছে গেল দিল্লিতে। দিদিমণির নাটক আর নিচ্ছে না বাংলার মানুষ”। সুকান্ত মজুমদার ও শমীক ভট্টাচার্যও; একই সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন।
তবে বিজেপিকে একহাত নেন; তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের মতন রাজধানী দিল্লিতেও সাম্প্র’দায়িক উস-কানি দিচ্ছে বিজেপি। দেশের পক্ষে লজ্জা ও বিপদজনক ঘটনা এটি”। কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, শতাব্দী রায়ও একযোগে বিজেপিকে একহাত নেন; দিল্লির ঘটনা নিয়ে।