দুর্গাপুরের জেমুয়া স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ

570
বর্ধমান দুর্গাপুরের জেমুয়ার স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভ/The News বাংলা
বর্ধমান দুর্গাপুরের জেমুয়ার স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভ/The News বাংলা

দুর্গাপুরের জেমুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের ব্যপক লাঠিচার্জ। রণক্ষেত্র জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুল চত্বর।

বর্ধমান দুর্গাপুরের জেমুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটারদের বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, এই দাবী নিয়েই ভোট বয়কট করলেন ভোটাররা। তুমুল বিক্ষভে বন্ধ ভোট। জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ এ বিক্ষোভ দেখান ভোটাররা।

আরও পড়ুনঃ শুরু হল চতুর্থ দফার ভোট, রণক্ষেত্র দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুল চত্বর

সকাল থেকেই, ভোট শুরুর আগে থেকেই উত্তেজনা বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের জেমুয়া স্কুলের বুথে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সকাল থেকেই স্কুলে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভোটাররা।

ভোটাদের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং ব্যাপক হারে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়। তাই এবার তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেবেন না বলে জানান। এদিকে রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা নেই বলেও জানান তারা।

আরও পড়ুনঃ মমতার তোষণ নীতির জন্য বাংলায় আসছে ভয়ঙ্কর ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা

চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের কথা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল। সেই মতো বুথে বাহিনীও নিয়োগ হয়।

যদিও তারা এটাও বলেছেন, মাত্র ৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে রাজ্য পুলিশের যোগসাজশে ভোট প্রদানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এই অবস্থায় রাজ্য ও কেন্দ্র পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে আপাতত ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখে।

আরও পড়ুনঃ বউয়ের খোঁজ রাখেন না, দেশের মানুষের খোঁজ কি করে রাখবেন, মোদীকে খোঁটা মমতার

দুর্গাপুরের জেমুয়ায় ভাদুবালা বিদ্যাপীঠ স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বুথে বিক্ষোভ স্থানীয় গ্রামবাসীদের। যতক্ষণ পর্যন্ত না পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট দেবেন না স্থানিয় গ্রামবাসীরা, এমনটাই ঘোষণা করা হয়। ২৭৫ নাম্বার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৫টি বুথ যথাক্রমে ২২৫,২২৬,২২৭,২২৮,২২৯ নাম্বার বুথে সাময়িক ভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।

তারপরেই বুথে ঢোকে তৃণমূলের নেতারা। তারা ভোট শুরু করার জন্য বিক্ষোভ শুরু করেন। তারপরেই ভোটার ও তৃণমূল নেতাদের ঝামেলা লেগে যায়। এরপরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে ব্যপক লাঠিচার্জ শুরু করে। মেরে সবাইকেই বুথের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।

আজকের ভোটের যাবতীয় তথ্যঃ সোমবার বাংলার ৮ টি আসনে ভোট, দেখে নিন একনজরে ৮ কেন্দ্রে ভোটের কিছু তথ্য

প্রায় দেড় ঘন্টার উপরে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকার থাকার পর ভোট গ্রহণ আরম্ভ হলে, তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডিসিপি পূর্ব অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ আরম্ভ করে। ঘটনায় এক শিশুসহ মোট ১২ জন ভোটদাতা আহত হয়েছেন।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন