ল্যাপটপ চালাতে পারে কমবেশি সবাই; তবে সঠিকভাবে ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম অজানা থাকলেই খুব দ্রুতই কমে আসতে পারে ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা। ল্যাপটপ যত্ন নিতে যে নিয়মগুলোর না জানলেই নয়; সেগুলো জেনে নিন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ল্যাপটপ বিছানার উপর রেখে কাজ করতে পছন্দ করি। তবে; বিছানা বা কুশনের মত নরম জায়গায় ল্যাপটপ চালালে ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ল্যাপটপের নিচের অংশে একটি বা দুটি ফ্যান থাকে; যা ল্যাপটপের ভেতরের গরম হাওয়া টেনে বাইরে ছাড়ে; এটি ভেন্টিলেশনে সহায়তা করে। বিছানা বা কুশন পুরোপুরিভাবে এই ভেন্টিলেশন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।
অনেকেই লেখার শেষে এন্টার বাটন প্রেস করার সময় খুব জোরে এন্টার বাটনে প্রেস করেন। এন্টার ও স্পেসবারের প্রতি এমন ভালবাসাই ল্যাপটপের জন্য কখনো কখনো কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ল্যাপটপের কীবোর্ড অত্যন্ত পাতলা; তবে অত্যন্ত শক্তিশালী। শক্তিশালী কীবোর্ড থাকার কারণে সামান্য চাপেই ল্যাপটপের কীবোর্ড কাজ করে। তাই অত্যাধিক জোরে প্রেস করার প্রয়োজন নেই।
ল্যাপটপের টাচবারের সঠিক ব্যবহারে ল্যাপটপের আয়ু বাড়ায়। টাচপ্যাড খুব সংবেদনশীল একটি অংশ; টাচবারের নিচে থাকে হাজারো মোশন সেন্সর। শুধুমাত্র ২-৩ টি আঙ্গুল দিয়ে টাচবার ব্যাবহার করাই ভাল।
এবার আসা যাক ব্যাটারির দিকে; ভালো মানের একটি ল্যাপটপের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা ১৪-১৬ ঘন্টার মতো হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন সারারাত ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখলে ল্যাপটপের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু; এখনকার অত্যাধুনিক ল্যাপটপগুলোতে এমন প্রযুক্তি রয়েছে; যার কাজ হচ্ছে ব্যাটারি ফুল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপের চার্জ অফ করে দেয়া। অর্থাৎ ল্যাপটপের ব্যাটারি সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপ আর চার্জ হবেনা; এতে ব্যাটারির ক্ষতি হয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে; ২৭ শতাংশ ল্যাপটপ ব্যবহারকারী সঠিকভাবে ল্যাপটপ অন-অফ করেনা; যার কারণে ল্যাপটপের আয়ু কমে যায়। কাজ শেষ হয়ে গেলে ল্যাপটপ ভাঁজ করে রেখে দিই। জেনে রাখা ভাল; ভাঁজ করামাত্র ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায় না; স্লিপ মোডে চলে যায়। ল্যাপটপ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না করে কেবলমাত্র ব্যাটারি সেভিং এর কাজের জন্য স্লিপমোড ব্যবহার করা উচিত। কাজ শেষ হয়ে গেলে পাওয়ার বাটন না চেপে অপারেটিং সিস্টেম থেকে শাট ডাউনের সাহায্যে ল্যাপটপ অফ করা উচিত।