‘হাইকোর্টে বিপ্লব’, আজ আবার যুগান্তকারী রায়; বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে; সিবিআইকে বিশেষ টিম বা সিট গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত হবে; কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ নজরদারিতে। সিবিআইকে সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টেগেটিং টিম গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে থাকবেন; কলকাতা সিবিআই-য়ের এক যুগ্ম অধিকর্তা। হাইকোর্টের নজরদারিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাবে তারা।
বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত; সিবিআই এর এই টিমের; বা সিটের আধিকারিকদের বদলি করতে পারবে না সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে, সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন; বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানি চলাকালীন; সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তদন্তে গতি আনতে; নয়া নির্দেশও দেন এদিন।
আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালে পোলিও মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পায় ভারত, বাংলার মেটিয়াবুরুজে পোলিও হানা
সিবিআইয়ের সিটে বা সেই স্পেশাল টাইম কারা কারা থাকবেন; আধিকারিকদের নামের সেই তালিকা শুক্রবার আদালতে পেশ করবে সিবিআই। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন; “আমি আশা করব সিবিআই তদন্তে; এবার লক্ষণীয় অগ্রগতি হবে। যাতে আমাকে আর আশাহত হতে না হয়”। একইসঙ্গে তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন; ‘অন্যান্য মামলাগুলিতে আজ পর্যন্ত সিবিআইয়ের কর্মকাণ্ডে আদালত খুব একটা সন্তুষ্ট নয়’।
আরও পড়ুনঃ করোনা নেই, বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্টের নামে মানুষকে লুটছে বেসরকারি হাসপাতাল
এদিন প্রাথমিক টেটের দুটি মামলার; প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। রিপোর্ট পেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও। আদালতে সিবিআই জানায়, “আমরা অত্যন্ত গুরত্ব দিয়ে এই মামলা-গুলি দেখছি; দিল্লি থেকে নতুন যুগ্ম অধিকর্তা এসেছেন, যিনি শুধুমাত্র এই মামলাগুলোই দেখছেন। আগামী কয়েকসপ্তাহ ঘটনাবহুল হতে চলেছে”।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মত; ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেছে। ২৬৯ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে; যাদের সবার চাকরি বাতিল করে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল; কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬৯ জন শিক্ষক; এবার সেই মামলার তদন্ত করবে সিবিআইয়ের সিট, কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে।